জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে লেফট ব্যাক খুঁজছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২ গোলে জয় এলেও, ডিফেন্সের সমস্যা ভোগাচ্ছে সবুজ-মেরুন টিম ম্যানেজমেন্টকে। ক্যাপ্টেন শুভাশিস বসু থাকলেও তাঁকে সমস্ত ম্যাচে খেলানো সম্ভব নয়
মনে করা হয়েছিল কাতার বিশ্বকাপের পরেই হয়ত আর আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে দেখা যাবে না লিওনেল মেসিকে (Lionel Messi)। এ বার এই জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন মেসি। বছরের শেষে এসে ভক্তদের মুখে হাসি ফোটালেন আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
এবারের আইএসএল-এও (ISL) একেবারেই ভাল জায়গায় নেই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। গোল করার মতো ফুটবলারের অভাবে ভুগতে হচ্ছে লাল-হলুদকে। আর সেই সমস্যা মেটাতে এবার মুম্বই সিটি এফসি (Mumbai City FC) থেকে গুরকিরতকে সই করাতে চাইছে লাল-হলুদ শিবির। তবে এখনই নয়, জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাঁকে সই করাতে চাইছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল।
এএফসি কাপ (AFC Cup) থেকে বিদায় নিলেও, আইএসএল-এ (ISL) দারুণ ছন্দ বজায় রাখল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ওড়িশার মাটিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে টানা পঞ্চম ম্যাচ জিতে রেকর্ড গড়ে ফেলল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ২-০ গোলে হায়দরাবাদকে হারাল তাঁরা। এই মরশুমে প্রথম ৫ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতল মোহনবাগান। এর আগে আইএসএল-এ এমন নজির গড়তে পারেনি কোনও দলই।
মহমেডানের (Mohammedan Sporting) বিরুদ্ধে সাত গোলে জয় পেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (Emmai East Bengal)। কলকাতা লিগে ২ গোলে হারতে হয়েছিল লাল-হলুদের ছেলেদের। আর এবার কন্যাশ্রী কাপে সেই হারের বদলা নিলেন তৃষা মল্লিক, মামনি দাসরা। কন্যাশ্রী কাপে বরাবরই ভাল দল গড়ে ইস্টবেঙ্গল। আর এবারেও দুরন্ত ছন্দে মশাল বাহিনী। ডার্বিতে জয় হতাশ থাকা লাল-হলুদ সমর্থকদের কিছুটা হলেও চাঙ্গা করবে।
একে তো একাধিক তারকা ফুটবলারের চোট, তার উপর আবার খারাপ ফর্ম। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদ এফসি-র (Mohun Bagan vs Hyderabad FC) বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামার আগে বেশ চাপে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। স্ক্যানারের তলায় কোচ জুয়ান ফেরান্দোও। গতবার সবুজ-মেরুনকে আইএসএল জেতালেও, এবার সেই খেতাব ধরে রাখাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
শনিবার আইএসএলে হায়দরাবাদের মুখোমুখি সবুজ-মেরুন। পরপর হারের পর, এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। এএফসি কাপে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে পাঁচ গোল খাওয়ার পর, এই ম্যাচের ফলাফলের উপরে কোচ ফেরান্দোর ভবিষ্যতের অনেক কিছু নির্ভর করতে পারে।
কলকাতা লিগের ডার্বি নিয়ে তরজা চলছে। নৈহাটিতে আয়োজিত ডার্বিতে খেলতে যায়নি মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা মাঠে উপস্থিত না থাকায় রেফারি সেরকমই রিপোর্ট দেবে আইএফএ-র কাছে। এবার লিগ কমিটি সংবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে যে ছয় পয়েন্ট কাটা যাবে না তার বেশি। তবে এই ব্যাপারকে আমলই দিচ্ছে না মোহনবাগান। উল্টে হুমকি দিয়ে রাখলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত।
কলকাতা লিগের ডার্বিতে খেলতে নামল না মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ম্যাচ জিতে নিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি ঘোষণা হওয়ার পরেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। আর সেই কথা মতোই দল নামাল না মোহনবাগান। কলকাতা লিগের ভাগ্য আগেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। মহমেডান স্পোর্টিং আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। ফলে এই ডার্বি গুরুত্ব হারিয়েছিল।
মোহনবাগানে (Mohun Bagan Super Giant) যোগ দেওয়ার আগে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল আলবেনিয়ার স্ট্রাইকার আর্মান্দো সাদিকুকে (Armando Sadiku) নিয়ে। এবারের আইএসএল বা এএফসি কাপে তাঁর ফর্ম চিন্তায় রেখেছে জুয়ান ফেরান্দোকে। সামনেই রয়েছে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডো। সেখানে কি তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে? প্রশ্ন তুলেছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের একাংশ।
কলকাতা লিগের ডার্বির তারিখ নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ও আইএফএ-এর সঙ্গে বৈঠকে বসার আর্জি জানিয়ে বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থাকে চিঠি দিল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তবে নিজেদের অবস্থানে অনড় আইএফএ। আজই ডার্বি ম্যাচ হবে নৈহাটি স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচে মোহনবাগান খেলতে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।