ফেডারেশন কাপ আবার ফিরতে চলেছে, সুপার কাপের জয়াগা নিতে চলেছে ফেডারেশন কাপ। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে AIFF সূত্রে। ডুরান্ড কাপ আয়োজনের পুরো দায়িত্ব থাকে সেনাবাহিনীর হাতে। সেখানে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান স্পোর্টিং পুরো শক্তির দল নিয়ে খেললেও, সুপার কাপে সেই ছবিটা দেখা যায় না। চলতি বছরের সুপার কাপ ছিল একেবারেই জৌলুসহীন। এবার সুপার কাপে এফসি গোয়া চ্যাম্পিয়ন হলেও, প্রবল গরমে দর্শক ছিল বিমুখ।
ফুটবলাররাও ছিলেন ক্লান্ত। মরসুমের শেষ টুর্নামেন্ট বলে, মোহনবাগান তাদের মূল দল খেলায়নি। অধিকাংশ দলই তাদের পুরো কোটার বিদেশি নিয়েও খেলেনি। আর ফেডারেশনকে অগ্রাহ্য করে চার্চিল ব্রাদার্স তো দলই নামায়নি। আই লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ বিতর্ক, সুপার কাপের সূচি তৈরি করতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আর জাতীয় দলে তাদের বেশ কিছু ফুটবলার চলে যাওয়ার কারণে। ফলে মোহনবাগানের সঙ্গে তাদের প্রথম ম্যাচ হয়নি। মোহনবাগানকে বাই দেয় ফেডারেশন। কিন্তু চার্চিলের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি ফেডারেশন।
এখন একটাই প্রশ্ন, সুপার কাপের চ্যাম্পিয়নের স্পট যেহেতু এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টায়ার টু-র প্লেতাফের জন্য নির্দিষ্ট আছে, সেখানে সুপার কাপ না হলে, কী হবে? সমস্যা এড়াতে সুপার কাপের বদলে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নকে এই স্পট দেওয়ার ভাবনা চলছে। আর মরশুম শেষে সুপার কাপ করে নয়, মরসুমের ওপেনার হিসেবে ফেডারেশন কাপ আয়োজন করার ভাবনাও রয়েছে। ডুরান্ড কাপের আগে সময় বের করে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এতে দুটো উদ্দেশ্য পূরণ হবে। সব দলই প্রাক মরসুম প্রস্তুতি হিসেবে নিয়ে মন দিয়ে খেলবে। অন্যদিকে, এএফসি কাপের স্লটের জন্য চ্যাম্পিয়ন দলও মিলবে। ফেডারেশন কাপের ফরম্যাট কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন ফেডারেশন কর্তারা। কিন্তু এখানেও সমস্যা রয়েছে। সেটা হল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত কোনওরকম বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে ও তাঁর কার্যকরী কমিটির। নতুন কমিটি আসার আগে সুপার কাপকে সরিয়ে ফেডারেশন কাপ চালুর সিদ্ধান্ত কি কল্যাণরা নিতে পারবেন? যদি পারেন, কথা নেই। নইলে অপেক্ষা করতে হবে।