
কলকাতা লিগের (Kolkata League) চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এখনই ঘোষণা করা হবে না। জানিয়ে দিল আলিপুর আদালত। ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) সঙ্গে ডায়মন্ডহারবার এফসি-র (Diamond Harbour FC) ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পরেই, মনে করা হয়েছিল এবারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। তবে সেই জল্পনা কিছুটা হলেও থামিয়ে দিল এই রায়। জানা গিয়েছে, ১৯ মার্চ পর্যন্ত এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
শেষ ম্যাচ জিততে পারলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারত অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ক্লাবও। বৃহস্পতিবার ম্যাচে না খেলার কারণ হিসেবে, আই লিগ ২-এর ম্যাচ ও রিলায়েন্স ইয়ুথ লিগের ম্যাচ থাকার যুক্তি দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। তবে রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের ম্যাচের দিন বদল করতে আইএফএ অনুরোধ করায় সে কথা রেখেছিলেন আয়োজকরা। তবে দল নামায়নি ডায়মন্ড হারবার।
সেদিন নিয়মমতো নির্ধারিত ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর ম্য়াচ কমিশনার ম্যাচটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ৷ ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট দেখে আইএফএ পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গলকে বিজয়ী ঘোষণা করবে এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয় বাংলা ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে৷ তবে বিপক্ষ মাঠে না-আসায় তিন পয়েন্টের সঙ্গে সাত বছর পর ঘরোয়া লিগে লাল-হলুদ শিরোপা জিতল বলে যখন প্রায় সবাই ধরে নিয়েছেন৷ ঠিক সেই সময়ই এল আদালতের নির্দেশ।
এই ম্যাচ প্রাথমিকভাবে নৈহাটিতে হওয়ার কথা থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের আপত্তিতে তা কিশোর ভারতীতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই ম্য়াচ খেলতে অস্বীকার করে ডায়মন্ড হারবার। ১৬ ফেব্রুয়ারি কিবু ভিকুনার দলের আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ থাকায় এই ম্যাচ খেলতে চায়নি তাঁরা। শুধু তাই নয় ৷ আইএফএ আলোচনা করে আরএফডিএলের ম্যাচ পিছিয়ে দিলেও সমস্যা সমাধান হয়নি।
বৃহস্পতিবারের ম্য়াচের আগে কলকাতা লিগের প্রিমিয়র ডিভিশনে ১৫ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। এই ম্যাচের তিন পয়েন্ট যোগ হলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হবে ৪৪। ভবানীপুর ক্লাবও আগেই না-খেলার কথা জানিয়েছে। ফলে সেই ম্যাচের পয়েন্ট যোগ হলে ইস্টবেঙ্গল ৪৭ পয়েন্টে শেষ করবে।