আনোয়ার আলী, আনোয়ার আলী বিতর্ক, AIFF খেলোয়াড়দের সাসপেনশন আদেশ, দিল্লি হাইকোর্ট, দিল্লি এফসি, ফুটবল সংবাদ আনোয়ার আলি ইস্যু কি অবশেষে মিটতে চলেছে? নাকি সমাধানসূত্র বের হওয়ার থেকে আরও কিছুটা দূরে চলে গেল? মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের শুনানি থেকে দুটি সম্ভাবনাই তৈরি হয়েছে। শুনানিতে বিচারপতি সচিন দত্ত সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কাজে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেননি। ফেডারেশনের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে নতুন কমিটি তৈরি করার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গেল এআইএফএফ।
প্রসঙ্গত, মিনার্ভা পঞ্জাব থেকে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট হয়ে ইস্টবেঙ্গল, আনোয়ার আলির এই ক্লাব পরিবর্তন সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশনের আপিল কমিটিতে দীর্ঘদিন মামলা চলছে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর এই ইস্যু নিয়ে আপিল কমিটিতে শুনানি ছিল। তার আগে সেই কমিটির সদস্যরা পদত্যাগ করেন। ফলে পরবর্তী শুনানি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ২০ ডিসেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি তৈরি হবে। তারপর দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট।
এতে জট খোলার পরিবর্তে নতুন জট তৈরি হবে, এমনটাই মনে করছেন মিনার্ভা কর্তা রঞ্জিত বাজাজ। তাঁর বক্তব্য, 'নতুন কমিটি তৈরি হওয়ার অর্থ আবার প্রথম থেকে মামলা শুরু হবে। ফলে এতদিনে সমস্যা সমাধানের দিকে যতটা এগোনো গিয়েছিল, ততটাই পিছিয়ে আসতে হবে। সেই কারণে আগের কমিটিকে বহাল রাখার অনুরোধ করেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়া। নতুন কমিটি আসার পরও যে টালবাহানা হবে না, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে? তখন প্রয়োজনে ফের আদালতের দ্বারস্থ হব।'
দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যাপারটা সমাধান না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আনোয়ার নিজেও। প্রথমে মোহনবাগান ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিয়ে এ ব্যাপারে জানতে চায়। তারপর, নিজের ভবিষ্যৎ কী তা জানতে চান আনোয়ারও। তিনিও চিঠি পাঠান। তারপরেও তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকার কাটছে না। যদিও সামগ্রিকভাবে ভারতীয় ফুটবল নিয়েই সংশয় কাটেনি। একের পর এক বৈঠক, আদালতে শুনানি সবই চলছে। ফলে সব মিলিয়ে বেশ চাপে ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে জড়িত প্রায় সকলেই।