কলকাতা লিগে বিদেশি নেই। বড় ক্লাবগুলো আর মূল দল খেলায় না। ফলে জৌলুস প্রায় ফিকে। এর মধ্যেই যতটুকু আকর্ষণ রয়েছে তা বোধহয় সুরুচি সঙ্ঘের মতো দলগুলোর জন্যই। বলা ভাল, তাদের দলের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের জন্য। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ১০ জনে খেলেও ১-১ গোলে ড্র। সবথেকে বড় কথা, পিছিয়ে পড়েও ফিরে আসা।
ম্যাচের পরে সুরুচি সংঘের কোচের দেওয়া ইন্টারভিউ মোটামুটি ভাইরাল। কলকাতা ফুটবলের মরা গাঙে রঞ্জন ভট্টাচার্য মাঝে মাঝে কিছু জোয়ার নিয়ে আসেন। এই ম্যাচের আগে থেকেই হুঙ্কার ছাড়ছিলেন তিনি। জার্সির রঙ ছাড়া মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ারদের সঙ্গে সুরুচি প্লেয়ারদের তেমন কোনো পার্থক্য নেই এই বলেছিলেন তিনি। এবং এক এক গোলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ড্র করার পরেও রঞ্জন ভট্টাচার্য সমান ভোকাল। তিনটে থেকে খেলা হলে ওদের ডুগডুগি বাজিয়ে দিতাম গোছের মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রায় অমল দত্ত স্টাইলে।
তিনি যখন এসব বলছেন তখন তাঁর পাশে বসে এক বঙ্গ তনয়। সাংবাদিক সম্মেলন বরং তাঁর ডাকা উচিত ছিল। তন্ময় ঘোষ। তিনি বরং হুঙ্কার ছাড়তে পারতেন বড় দলের কর্তাদের উদ্দেশ্যে যে আমার মুখটা কি আপনাদের পছন্দ নয়? কী ফুটবলটাই না খেললেন তন্ময়! গত বছর মহামেডানের হয়ে কলকাতা লিগ মাতানোর পরেও অমরজিৎ সিং কিয়াম এবং অন্য সব প্লেয়ারদেরই পছন্দ করেছিল ম্যানেজমেন্ট। কেন? তা তাঁরাই জানেন।
ইস্টবেঙ্গল যে মাঝমাঠে খেলাটাকে সেইভাবে ধরতে পারল না কখনোই তার জন্য তন্ময়ের কৃতিত্ব বেশি। গোলে শুভম রায়। এরকম ফিগারের বাঙালি গোলকিপার শেষ কবে দেখেছি আমরা? রাইট ব্যাক টোটন দাস এবং লেফট ব্যাক জয়বাজ। সেন্টার ব্যাকে মহারাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসা আহমেদ ফইয়াজ খান এবং বলরাম মান্ডি মিডফিল্ডে পাঁচ জন দেবজিৎ বসাক, বেদেশ্বর সিং, সাই জোসেফ হাওকিপ, বাবলু ওঁরাও এবং তন্ময় ঘোষ। লোন স্ট্রাইকার জনি কম।