রবিবারই ঘরোয়া লিগে যাত্রা শুরু করার কথা ছিল মহমেডান স্পোর্টিং-এর। প্রতিপক্ষ ছিল পিয়ারলেস ক্লাব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রেফারি না থাকার জন্য ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গেল! বিরল এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে কলকাতা ময়দানে। কেন এতটা অপেশাদারিত্বের শিকার বাংলার ফুটবল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেন রেফারি নিয়ে সমস্যা?
রবিবার রেফারি তাঁবুতে রয়েছে কলকাতা রেফারি সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভা। সভার পর রেফারি সংস্থার নতুন কমিটি গঠন হবে। কলকাতার রেফারিরা ব্যস্ত থাকবেন সেই সভায়। সেই কারণেই মহামেডান ম্যাচটি স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ। এই ম্যাচটি কবে হবে সেই তারিখ এখনও জানায়নি তারা।
এদিন ম্যাচ স্থগিত নিয়ে বলতে গিয়ে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'রবিবার রেফারি সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, প্রথমে সংস্থার সভাপতি ভোলানাথ দত্ত জানিয়েছিলেন একটি ম্যাচে রেফারি দেওয়া যাবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায়, রেফারি পাওয়া সমস্যা হয়ে যায়, তাই এই ম্যাচটি স্থগিত করতে হল।'
সিআরএ নির্বাচনে এবার সচিবের পদে লড়াই করছেন প্রাক্তন ফিফা রেফারি চিত্ত দাস মজুমদার ও জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সভাপতি ভোলানাথ দত্ত ও অরিন্দম ভট্টাচার্য। সহ-সভাপতি পদের জন্য দেবাশিস মিশ্র, অভিজিৎ কুণ্ডু, সুকৃতি দত্ত ও অনামিকা সেনরা লড়াই করবেন। সহ-সভাপতির জন্য লড়াই করবেন বিকাশ মুখোপাধ্যায় ও সমরেশ ভট্টাচার্যও। এজিএমের মধ্যেই রবিবার বর্তমান রেফারিদের একাধিক অভাব, অভিযোগ তুলে ধরবেন সংস্থার সদস্যরা।
এজিএম থাকার জন্য প্রিমিয়ারের সূচিতে রবিবার একটি ম্যাচ দেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচটিও পরিচালনা করার জন্য রেফারি পাওয়া যাবে না। এমন ঘটনা এ যুগে ঘটতে পারে তা কল্পনাই করতে পারছেন না কলকাতা ময়দানের সঙ্গে দীর্ঘদিন জড়িত প্রবীনরা। তবে আইএফএ-এও নিরুপায়। কারণ রেফারি আনতে তাদের সংস্থার উপরে নির্ভর করা ছাড়া কোনও উপায় নেই তাদের সামনে।