প্রথমবার ডুরান্ড কাপ খেলতে নেমে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ডায়মন্ডহারবার এফসি। কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুর এফসি এবং সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে উড়িয়ে ট্রফির জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছে বাংলার ক্লাবটি। কোচ কিবু ভিকুনার ছেলেদের পারফরম্যান্সে ম্লান হয়ে গিয়েছে একটার পর একটা আইএসএল ক্লাব।
একের পর এক চমক দিচ্ছে ডায়মন্ড হারবার
শনিবার নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নামবে ডায়মন্ডহারবার। তার আগে সেমিফাইনালে 'মশাল' নিভিয়ে চমক দিয়েছে তারা। জবি জাস্টিন, মির্শাদ মিচু, মিকেল কোর্তেজার, লুকা মায়সেন, রবিলাল মান্ডিরা উড়িয়ে দিয়েছেন তারকাখচিত প্রতিপক্ষকে। কিন্তু সেই সাফল্য নিয়ে এখনই বাড়তি উৎসব করতে নারাজ কোচ কিবু। এর আগে আই লিগের তিনটি ডিভিশনই জিতেছেন এই স্প্যানিশ কোচ। কিন্তু এখনও ডুরান্ড জেতা হয়নি তাঁর। ২০১৯ সালে এমনই এক ফাইনালে হেরে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। তাই এবার নর্থ-ইস্টের বিরুদ্ধে নামার আগে কিছুটা সাবধানী তিনি। সেমিফাইনাল জয়ের পর দলকে তেমনই বার্তা দিয়েছেন কিবু। ডায়মন্ডহারবার সূত্রে খবর, ইস্টবেঙ্গল-বধের পর ড্রেসিংরুমে এসে দলকে একদিনের জন্য ছুটি দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। সঙ্গে জানিয়েছেন, কাজ এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এখনও ফাইনাল খেলতে এবং জিততে হবে। তাই আনন্দে ভেসে গেলে চলবে না, বরং পা মাটিতে রাখতে হবে।
ফাইনালে খেলতে পারবেন হোলিচরণ?
একদিন ছুটি কাটিয়ে ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন প্লেয়াররা। এরমধ্যে একটা ভালো খবর ডায়মন্ডহারবার শিবিরে। সেমিফাইনালে পাঁজরে চোট পাওয়া হোলিচরণ নার্জারিকে মাঠ থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যা খবর, তাঁর চোট বিশেষ গুরুতর নয়। রাতেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তবে হোলিচরণের ফাইনাল খেলার বিষয়টি নির্ভর করছে ফিজিও-র ছাড়পত্রের উপর।
সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ লুকা
শুধু কোচ কিবু নয়, ফাইনালে ওঠার পর ডুরান্ড জয় ছাড়া ভিন্ন ভাবনা নেই ফুটবলারদের মধ্যেও। লুকা মাজসেন যেমন। যুবভারতী ছাড়ার আগে স্লোভেনিয়ার ফরোয়ার্ড বলছিলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য এবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ডায়মন্ডহারবার এফসি-কে আইএসএলে তুলে আনা। সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসাবে আমরা ডুরান্ডে খেলতে নামি। এবার আমরা ফাইনালে উঠে এসেছি। সুযোগ রয়েছে আমাদের। সেটা হাতছাড়া করতে চাই না।' এর আগে পঞ্জাব এফসি-কে আইএসএলে তুলেছেন লুকা।
গোটা বাংলার সমর্থন চান লুকা
তবে শেষবার এই মাঠে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হওয়ার স্মৃতি বিশেষ সুখের নয় লুকার জন্য। সেবার আইএসএলে দু'গোলে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হেরেছিল লুকার তৎকালীন দল পঞ্জাব এফসি। ডুরান্ড সেমিফাইনালে কি সেই হারের বদলা নিলেন? লুকার জবাব, 'ফুটবলে ওভাবে বদলা নেওয়ার কিছু নেই। দু'টো আলাদা ম্যাচ। সেদিন একরকম লড়াই ছিল। আজ একরকম।' উল্টে লুকা চাইছেন ইস্টবেঙ্গল সহ ময়দানের তিন প্রধানের সমর্থকরা ফাইনালে ডায়মন্ডহারবারের জন্য মাঠে আসুন। তিনি বলছিলেন, 'আমরা তো ফাইনালে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করব। বাংলার ফুটবলের জন্য সবাইকে বলব ফাইনালে মাঠে এসে আমাদের সমর্থন করতে।'