Super Cup EB Vs MBবৃষ্টি ভেজা মাঠ সবসময়ই খেলার পক্ষে কঠিন হয়। টানা বৃষ্টিতে মাঠ আরও অনুপযোগী হয়ে ওঠে। সেখানে ভালো ফুটবল খেলা প্রায় অসাধ্যসাধনের সমান। গোয়ায় ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সুপার কাপ ডার্বি এমনই একটি সমস্যা সঙ্কুল মাঠে। মাঠের অবস্থা বৃষ্টির কারণে এতটাই কর্দমাক্ত যে মনে হচ্ছিল কলকাতার দুই প্রধানকে ভুল করে খাটালে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ম্যাচটি দুই দলের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালের মত নকআউট ম্যাচের সমান। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুই দলের সাফল্যেই লুকিয়ে ছিল শেষ চারের টিকিট। ইস্টবেঙ্গলের ট্যাকটিক্যাল ফুটবলের সামনে মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট নতজানু। ম্যাচ গোলশূন্য। তবে গোল পার্থক্যের সুবিধা নিয়ে ইস্টবেঙ্গল শেষ চারে। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সুপার কাপ জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল।
অস্কার ব্রুজো যখন শেষ চারের টিকিট পেতে পাঁচ বিদেশি সমৃদ্ধ একাদশ নামালেন তখন ম্যাকলারেনকে সামনে রেখে অলড্রেট এবং আলবার্তোকে নিয়ে তিন বিদেশিতে প্রথম একাদশ হোসে মোলিনার। রক্ষন সামলে আক্রমন হানার ছকে ইস্টবেঙ্গলের দাপট। বিপিন সিংয়ের হেড পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়া ছাড়া মিগুয়েলের জোরালো শট বাঁচান বিশাল কাইথ। আপুইয়ার একমাত্র শট ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক প্রোভসুখন গিলের হাতে সমস্যা সৃষ্টি না করে। তবে বলতেই হবে প্রথমার্ধের নিয়ন্ত্রন লাল-হলুদের পায়ে।
মাঝমাঠে মিগুয়েল,রশিদ,ক্রেসপোর দাপটে সবুজ মেরুন আক্রমন ডানা মেলেনি। রাকিপ এবং জয় গুপ্তার কড়া ট্যাকেলে মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসো নিস্প্রভ। একাধিক চোরাপোপ্তা ফাউল এবং কড়া ট্যাকেলে দুই দলের খেলা প্রত্যাশিত মানে পৌঁছয়নি। তা সত্ত্বেও বলতেই বিরতির আগে নিয়ন্ত্রক লাল হলুদ।
বিরতির পরেও দাপট লাল হলুদের। বল দখল থেকে রক্ষনের বোঝাপড়ায় অস্কারের ছেলেরা অদৃশ্য কম্পোজারের নির্দেশে সবুজ মেরুন আক্রমনকে থামালেন। যার সামনে বল সরাবরাহের অভাবে ম্যাকলারেন দিগভ্রষ্ট। লিস্টন,সাহালকে তুলে নিতে হল। পেত্রাতোস,কামিন্সকে নামিয়ে লাল হলুদ প্রাচীরে ফাটল ধরাতে পারেনি মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট। এমনকি দলগত উদ্বুদ্ধকারী ফুটবলে নবাগত হিরোশিও নাছোড় ফুটবল খেললেন। ফলে নির্ধারিত সময়ের অল্প সময় আগে সওল ক্রেসপো চোট পেয়ে বাইরে চলে চলে গেলেও শৌভিক সামলে দিলেন অনায়াসে।