মরসুমের শুরুতে পরপর হারের পর কোচ বদল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলে। তবে তাতে ফলাফলে কোনও উন্নতি হয়নি বলেই মত লাল-হলুদের প্রাক্তন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের। দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্লেস ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরও ছেড়ে কথা বলেননি। যে সমর্থকরা একটা সময় তাঁকে প্রফেসর বানিয়েছিল, তারাই আবার ভিলেন বানাতে সময় নেয়নি। সে প্রসঙ্গও উঠে আসে সাক্ষাৎকারে।
সুপার কাপ জেতার পর তাঁর উপর প্রত্যাশার চাপ যে বেশি ছিল সেটা স্বীকার করে নেন কার্লেস। বলেন, 'আমাদের দ্বিতীয় বছরে প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল এবং যখন খারাপ ফলাফলের ধারা শুরু হয়, তখন কিছু সমর্থক দোষারোপের জন্য কাউকে খুঁজতে থাকে। ম্যানেজমেন্ট আমার উপর আস্থা রেখেছিল, কিন্তু বড় ক্লাবগুলিতে ধৈর্য থাকে না বেশিক্ষণ। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমাদের বছরটা ভালোই কাটবে, কিন্তু ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সবসময় তাড়াহুড়ো করে।'
দ্বিতীয় মরসুমে ভালো দল গড়েও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হবার কারণ বোরহার চলে যাওয়া। এ প্রসঙ্গে জানান, 'বোরহা হেরেরা স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে ও গোয়ায় থাকতে চায়। বলেছিল গোয়া তার পরিবারের জন্য ভালো জায়গা। তাই সে সেখানেই যেতে যায়। যখন কেউ থাকতে চায় না, তখন তাকে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না।'
ফিলিপাইনের বর্তমান সহকারী কোচ ক্লাব ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে বোরহাকে সুপার কাপ জেতার পরেও মাঝ মরসুমে ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে গোয়ার হয়ে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিকও করেন বোরহা।
ইস্টবেঙ্গল দলে তরুণ ফুটবলারদের অভাব বলেও মনে করেন কার্লেস। বলেন, 'আমরা আগে তরুণ খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতাম। এই বছর, কেবল পিভি বিষ্ণু খেলেছেন। সায়ন ব্যানার্জি, আমান সিকে এবং শ্যামল বেসরা এর মতো তরুণরা অদৃশ্য হয়ে গেছে। ইস্টবেঙ্গল আগে ছয় বা সাতজন খেলোয়াড়কে জাতীয় দলে পাঠাত। এখন, কেবল আনোয়ার আলী এবং সম্ভবত নাওরেম মহেশ সিং খেলার সুযোগ পাচ্ছে।'