
শুরু থেকেই পরিকল্পনা মাফিক তারা দল বদলের কাজে দল গঠনের কাজে নেমে পড়েছে এবং ইতিমধ্যেই নাম মোটামুটি জানা গিয়েছে যে যে ছয় বিদেশে চূড়ান্ত হচ্ছে এবং তার মধ্যে ইতিমধ্যেই কিন্তু ডিমানটাকোস এবং মহম্মদ রশিদ তারা ভারতে এসে তারা মাঠে নেমে পড়েছেন কেভিন সিবলের মত ফুটবলার চলে এসেছে অস্কার ব্রুজো নিজেও চলে এসেছেন। এবারের দলও মোটামুটি তৈরি। মাঠের বাইরের কাজ মোটামুটি শেষ। এবার ফুটবলারদের ফল দেওয়ার অপেক্ষা।
এ মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের শক্তি
একের পর এক তারকা ফুটবলারকে সই করিয়েছে লাল-হলুদ। প্রথমত জোর দেওয়া হয়েছে গত মরসুমের সমস্যা সমাধানে। সেবার এক জনও বিদেশী সিডিএম ছিলেন না। হিজাজি মাহের গত মরসুমে ভাল খেলতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে কমিট করেছেন এবং হেক্টর ইউস্তেকে পরবর্তীতে আমরা সেন্টার ব্যাক পজিশনে খেলতে দেখেছি কিন্তু একদমই বিদেশিদের মতো লাগেনি। এবারে ইস্টবেঙ্গল যেটা করেছে সেই জায়গাগুলো ঠিক করার চেষ্টা করেছে। ডিমানটাকোসকে আরও এক বছর সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং সলকেও রাখা হয়েছে। ফলে সিডিএম পজিশনের সমস্যা কেটে গিয়েছে আশা করা যায়।
দ্বিতীয়ত ছিল ডিফেন্স নিয়ে সমস্যা। মহম্মদ রাশিদ খুব ডিজিক্যাল। যে ভিডিওগুলো রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা দেখা যাচ্ছে তাতে স্কিল বা গোল করার প্রচুর ভিডিও পাওয়া যায়। সেট পিসে দারুণ। হেড ভাল। তবে সেইগুলো সব পজিটিভ ভিডিও। একজন ডিফেন্ডার যদি গোল করতে পারেন তা নিঃসন্দেহে একজন কোচের কাছে দারুণ ব্যাপার। তবে ডিফেন্ডার হিসেবে তাঁর দক্ষতা কেমন সেটা একটা বড় ব্যাপার।সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে তার হচ্ছে কাভারিং, সঠিক ব্যালেন্স বা শেপ মেনটেন করা। তার সঙ্গে ক্লিয়ারেন্সের দক্ষতা, এরিয়াল ডুয়েলে কতটা দক্ষ, বল ডিস্ট্রিবিউশন, অনুমান ক্ষ্মতা কতটা? ট্যাকলিং-এর ক্ষেত্রে টাইমিং ঠিক কিনা এগুলো একটা বড় ফ্যাক্টর।
ইস্টবেঙ্গলের দুর্বলতা কোথায়?
ডিফেন্সে এখনও দুর্বলতা রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। বিদেশি ফুটবলার নেওয়ার জায়গা নেই। তাই ভারতীয় ফুটবলারদের দিয়েই সে কাজটা সারতে হবে অস্কার ব্রুজোকে। স্টপারের জায়গায় রয়েছেন একজন বিদেশি মহম্মদ রাশিদ। যদিও সেই জায়গায় আনোয়ার আলি দলে আছেন। এই জুটি যদি কোনও কারণে চোট পান বা সমস্যায় পড়েন, তবে ঝামেলা বাড়বে। লালচুংনুঙ্গা থাকলেও, ভরসা দিতে পারবেন কিনা সেটা বলা মুশকিল। পাশাপাশি রাইট ব্যাকের জায়গায়টায় রাকিবকে আবার আমরা দেখছি। তার পাশাপাশি প্রভাত লাকরা রয়েছেন এবং রাইট উইঙ্গারে পিভি বিষ্ণুকে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে নাওরেম মহেশকেও রাইট উইং-এ ব্যবহার করা জেতে পারে। ডেভিডকেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
পাশাপাশি ডিমানটাকোস স্ট্রাইকার হিসেবে এগের মরদুমে ভাল পারফর্ম করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে এবার তাঁর শেষ সুযোগ তা বলাই যায়। পাশাপাশি মরক্কোর স্ট্রাইকার হামিদ এসে গেলে সেও সমস্যা কিছুটা কাটবে বলে আশা করা যায়।