ইস্টবেঙ্গলে প্রায় চূড়ান্ত অভিষেক সিং। এমনটাই সূত্রের খবর। পরের মরসুমের জন্য এই সাইডব্যাককে দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কিছুটা এগিয়ে গেল লাল-হলুদ ক্লাব। পঞ্জাব এফসি-র এই ফুটবলার মূলত রাইট ব্যাক হলেও, খেলতে পারেন লেফট ব্যাকের ভূমিকায়ও। ২০২৬ সাল অবধি পঞ্জাবের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে অভিষেকের।
পঞ্জাবের অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার এ মরসুমে ২২টা ম্যাচ খেলেছেন। সাইড ব্যাক অভিষেক সিং এই মরসুমে ধারাবাহিকভাবে খেলেছেন অভিষেকা পঞ্জাব এফসি অ্যাকাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েট হন তিনি। সাইড ব্যাক পজিশনে ইস্টবেঙ্গলের নতুন ফুটবলার দরকার। এই জায়গায় ডাল ফুটবলার না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছিল লাল-হলুদকে। কারণ এই পজিশনে নির্ভরযোগ্য ফুটবলার স্কোয়াডে খুব বেশি নেই। নিশু কুমার ও মহম্মদ রাকিপ দলে থাকলেও, ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি।
দল গড়তে সমস্যায়ও পড়তে হতে হয়েছিল হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। এছাড়া ডিফেন্সে ছিলেন মন্দার রাও দেশাই ও হরমোনজোত সিং খাবরা। তবে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার খাবরা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। মন্দারও ধারবাহিক নন, পরের মরসুমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে তিনি আদৌ থাকবেন কি না সেটাও একটা প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে সাইড ব্যাক পজিশনে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার দরকার।
অভিষেক সিং লাল হলুদ ব্রিগেডের জন্য হতে পারেন ভাল অপশন। রিজার্ভ কিংবা প্রথম একাদশ দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বয়স কম হওয়ার তাঁকে নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবে ইস্টবেঙ্গল। শুধু অভিষেক নয়, একাধিক ভারতীয় ফুটবলারকে সই করাচ্ছে লাল-হলুদ। ইতিমধ্যেই ডেভিড, দেবজিতদের সই করিয়েছে লাল-হলুদ। দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তি ভারতীয় ফুটবলার দলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ডাল অর্থ ব্যয় করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। দরকারে ট্রান্সফার ফি দিয়েও স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত করা হতে পারে নতুন ফুটবলার। যাতায় কলমে ইস্টবেঙ্গলের যা পরিকল্পনা রয়েছে তা বেশ আশাপ্রদ। ২০২৩-২৪ মরসুমে সুপার কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল।