East Bengal vs Jamshedpur FC: সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী সত্ত্বেও ঘরের মাঠে জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। জামশেদপুরের (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে দমিত্রিয়াস ডিমানটাকোসের (Dimitrios Diamantakos) গোলে তিন পয়েন্ট তুলে ১০ নম্বরে লাল-হলুদ। নন্দাকুমারের (Nandhakumar) পাস থেকে পিভি বিষ্ণুর (PV Vishnu) দৌড় আর সেখান থেকে ফাঁকায় পেছন থেকে আসা ডিমানটাকোস পুশ গোলে ঢোকে।
এর আগেও অসংখ্য সুযোগ মিস করলেও, নন্দাকে বাদ দিতে গেলে এ কারণেই ভাবতে হবে কোচ অস্কার ব্রুজোকে। পিভি বিষ্ণু ফের ম্যাচের সেরা। তাঁর রানে কাঁপুনি ধরে গিয়েছে জামশেদপুর ডিফেন্সে। হলুদ কার্ড দেখে খালিদ জামিলের পুরো পরিকল্পনা ঘেঁটে দিয়েছেন সৌরভ দাস। তাঁকে তুলে প্রণয় হালদারকে নামাতে তিনিও কার্ড দেখতে সময় নেননি।
পরপর সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের
একের পর এক সুযোগ নষ্ট করেছে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই আনোয়ার আলিইর শট বাড়ে লাগে। আরও বারকয়েক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছেন আলবিনো। নিশ্চিত সুযোগ নষ্ট করেছেন নন্দাকুমার, বিষ্ণুরা, ডিমানটাকোসও সেই তালিকায় রয়েছেন। পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। আর খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে গোটা ৯০ মিনিট প্রাধান্য নিয়ে খেললেও মাত্র ১ গোলে জিতল।
দুরন্ত ক্লেইটন
প্রথম ছয় ম্যাচে ভাল খেলতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। তাঁকে দলে না রাখার দাবি উঠেছে। তবে ডিমানটাকোসের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে জ্বলে উঠেছেন ক্লেইটন। পঞ্জাবের পর, জামশেদপুর ম্যাচেও একইভাবে বিপক্ষের রক্ষণে ভয় ধরিয়ে গেলেন। গোল এখনও না পেলেও সুযোগ পাচ্ছেন, তা তৈরিও করছেন। যা তাঁর ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত।
হলুদ কার্ড দেখা
অকারণে ম্যাচের শেষদিকে হলুদ কার্ড দেখেন হেক্টর ইউস্তে। পরের ম্যাচ হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না এই ডিফেন্ডার। যা চিন্তা বাড়াবে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে। এমনিতেই ফিট ফুটবলারের সংখ্যা বেশ কম। এর মধ্যে আরও এক বিদেশি না থাকা সমস্যা তৈরি করবে। পাশাপাশি মহম্মদ রাকিপকেও একই কারণে পাওয়া যাবে না। ফলে ফের ডিফেন্সে রদবদল করতে হবে অস্কারকে।
সাইডব্যাক আনোয়ার
আনোয়ার আলিকে নানাভাবে ব্যবহার করছেন অস্কার ব্রুজো। গত ম্যাচে জিকসন সিং না থাকায় আনোয়ার মিডফিল্ডে খেলেছিলেন। প্রয়োজনে সাহায্য করেছেন তিনি। আজও খেলছিলেন একটু উপর থেকে। ১২ মিনিটের মাথায় রাকিপ চোট পেয়ে উঠে যেতেই, সেখানে আনোয়ারকে নামিয়ে দেন অস্কার। সেই দায়িত্ব দারুণভাবে পালন করেন অস্কার। রাকিপ পুরো ফিট না থাকায় শ্যাননকে আটকাতে পারছিলেন না। নেমেই শ্যাননকে নিখুঁত কড়া ট্যাকেল করেন আনোয়ার।
প্রথম ১৫ মিনিটে ডিফেন্সে ভুল
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে দুই ভুলেই পিছিয়ে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আর এদিনও প্রথম ১৫ মিনিট বারবার আলগা হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স। পরের দিকে তা সামাল দেওয়া গেলেও, সব ম্যাচে তা সম্ভব হবে না। রেইতাচিকাওয়া, সিভেরিওরা গোল মিস না করলে সমস্যা হতে পারত ইস্টবেঙ্গলের।