ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নামছেন রস টেলর। তবে এবার আর নিউজিল্যান্ডের হয়ে নয়, ৪১ বছর বয়সে তাঁকে দেখা যাবে সামোয়ার হয়ে। সামোয়া আসলে টেলরের মায়ের দেশ ২০২৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপে এই দেশকে তুলে আনতেই আসরে নামবেন টেলর। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর এমন সিদ্ধান্তে অবাক অনেকেই।
ওমানে অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক ফাইনালে অংশ নেওয়া নয়টি দেশের মধ্যে একটি হল সামোয়া। এই টুর্নামেন্টে সেরা তিনটি দল আগামী বছর ভারত ও শ্রীলঙ্কায় মূল টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। গ্রুপ পর্বে ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে খেলবে সামোয়া। বাছাইপর্বের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের সামোয়া দলে রাখা হয়েছে টেলরকে।
আইসিসি-র নিয়ম কী বলছে?
আইসিসি-র নিয়ম অনুসারে, একজন ক্রিকেটার অন্য দেশের হয়ে খেলতেই পারেন। তবে প্রথমে তিনি যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতেন সেই দেশের হয়ে অবসর নিতে হবে। এর তিন বছর পর, অন্য কোনও দেশের হয়ে খেলতে নামতে পারেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০২২ সালের এপ্রিলে। সেই হিসাবে তিন বছর পর তিনি সামোয়ার হয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর মধ্যেই সামোয়ার এটাই শেষ সুযোগ ২০২৬-এর টি২০ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনের।
ব্যাটার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা ক্রিকেটার রস টেলর। তাঁর নামের পাশে আছে ১৮,১৯৯ রান। কিউইদের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০টি সেঞ্চুরিও টেলরের। ইনস্টাগ্রামে একটা পোস্ট করেছেন রস টেলর। সেখানে তিনি লিখেছেন, অবসর ভেঙে ফিরছি। এটি এখন আনুষ্ঠানিক, আমি গর্বের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমি সামোয়ার হয়ে ক্রিকেট খেলব, প্রতিনিধিত্ব করব। শুধু খেলার প্রতি ভালোবাসার কারণে ফিরছি তা নয়, আমার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, গ্রাম ও পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক সম্মানের। আমি খেলার জন্য আবার মাঠে নামতে, দলের সঙ্গে যোগ দিতে এবং মাঠে ও মাঠের বাইরে আমার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। এবার মাঠে নামার পালা।’
তবে শুধু রস টেলর নন, নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মারফি সুয়াও দল পরিবর্তন করে ২০১২ সালে সামোয়ার হয়ে খেলেছিলেন। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য সামোয়ার দলে শুধু রস টেলরই একমাত্র বড় নাম নন। নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে অকল্যান্ডের হয়ে বহু বছর ধরে খেলা ৩২ বছর বয়সী শন সোলিয়াকেও দলে রেখেছে সামোয়া।