অনিশ্চিত আইএসএল। ফলে সিনিয়র ফুটবলার ও স্টাফদের মাইনে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল বেঙ্গালুরু এফসি। এর আগে ওড়িশা এফসি জানিয়ে দিয়েছিল ৫ আগস্টের পর আর তারা সিনিয়র ফুটবলার ও কোচিং স্টাফদের মাইনে বন্ধ করে দেবে। আর এবার সেই পথে হাঁটার কথা ঘোষণা করে দিল সুনীল ছেত্রীদের ক্লাবও। ফলে আইএসএল নিয়ে সমস্যা যে আরও বাড়ল তা বলাই যায়।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
সোমবারই ক্লাব জোটের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছিল ফেডারেশন। লিগ শুরু নিয়ে এআইএফএফ বা আইএসএল সংগঠক এফএসডিএল নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেনি। উভয় পক্ষই যেন দ্রুত ব্যাপারটা পরিষ্কার করে। শুধু সিনিয়র টিমেরই বেতন বন্ধ করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসি তাদের বাকি সব কাজই চালু রেখেছে। কয়েক দিন আগে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওড়িশা এফসি। তাদের ফুটবলার-কোচ-স্টাফদেরও অগস্ট থেকে বেতন বন্ধ।
কেন হঠাৎ এই জটিলতা?
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্প্রচার চুক্তি নবীকরণ না করায়, আইএসএল-এর পরবর্তী মরসুম এখন শুরু করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। এমনটা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজক সংস্থা ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বা এফএসডিএল। এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাভাবিকভাবেই, একাধিক ক্লাব অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অনেক ফুটবলারের সঙ্গেই দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে ভারতের সর্বোচ্চ লিগ বড় প্রশ্নের মুখে।
মূলত, সংবিধান সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত, এআইএফএফ কোনওরকম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। আর সেই কারণেই, এফএসডিএল-এর সঙ্গে দিল্লীর ফুটবল হাউজ কোনও কাজই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না। কার্যত, ফেডারেশনের তরফেই সম্প্রচার চুক্তি করতে দেরি হচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমান চুক্তিটি শেষ হবে আগামী ৮ ডিসেম্বর। তবে তার আগে লিগ চালু না করলে, সমস্যা বাড়বে। দলগুলি যেমন ফুটবলারদের ধরে রাখতে পারবে না তেমনই পুরো ফুটবল ক্যালেন্ডারের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে যাবে। সব মিলিয়ে এ কথা বলাই যায় যে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এখন বিরাট সঙ্কটে।