অনেকদিন ধরে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এবার সেটাই সত্যি হল। মেয়াদ শেষের আগেই ফেডারেশনের (AIFF) কল্যাণ চৌবের (Kalyan Chaubey) কমিটিকে নির্বাচনের মুখে দাঁড়াতে হবে। অন্তত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল জবাকে এরকমই তথ্য উঠে এলে।
ফেডারেশনের সংবিধান নিয়ে অনেকদিন ধরেই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বাইচুংয়ের পাশাপাশি, রাহুল মেহরা, কোশারাজু, রাজ্য সংস্থা, এফএসডিএল এবং খোদ ফেডারেশন সবাই এক-একটা পক্ষ। এদিন, মহামান্য বিচারপতি পি এস নরসিমা এবং মহামান্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেকে মামলাটির শুনানি হলে, পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্বাচনের জন্য নাতুন সংবিধান প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত কল্যাণ চৌবের কমিটি নির্বাচনের আগে 'অন্তর্বর্তী কমিটি' হিসেবে কাজ করবে। ফলে এই সময় কোনও বিষয়ই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বর্তমান কর্তায়া।
কেন সমস্যায় ফেডারেশন?
সবচেয়ে বড় সমস্যা অন্য জায়গায়। এফএসডিএলের সঙ্গে ২০২৫-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে ফেডারেশনের। ফলে সামনের মরসুমে এফএসডিএল কোন শর্তে আইএসএল চালাবে, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চুক্তি কীভাবে হবে, তা নিয়ে এফএসডিএলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মিটিংও হয়েছে ফেডারেশন কর্তাদের। তা নিয়ে অবশ্য আগের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাইচুং ভুটিয়া। বলেছিলেন, যেহেতু সংবিধান তৈরি হয়নি, তাই এই কমিটির অধিকার নেই এফএসডিএলের সঙ্গে সরকারিভাবে মিটিং করার। এদিন আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি যেরকম নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, সেরকম এফএসডিএলের সঙ্গেও কোনওরকম মিটিং করতে পারবে না।
কমিটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন
ফলে বর্তমান কমিটির অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়ল। বোঝাই যাচ্ছে, সংবিধান তৈরি করে নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছে পুরো প্রক্রিয়া। তার মধ্যে আবার কোশারজ, ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়েও তদন্ত চেয়ে বসে আছেন। সব মিলিয়ে ফেডারেশনে এখন নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ফলে বেশ চাপে কল্যাণ।