লিস্টন কোলাসোর দুর্দান্ত গোলে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে শিল্ড জেতার আরও কাছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচের পর সুনীল ছেত্রীদের শিল্ডের লড়াই থেকেই প্রায় ছিটকে দিল সবুজ-মেরুন। দেখে নেওয়া যাক কত পয়েন্ট পেলে শিল্ড পাবে মোহনবাগান।
১৮ রাউন্ডের শেষে মোহনবাগান ৪০ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে ৬ রাউন্ডের খেলা। এফসি গোয়া দল দুই নম্বরে থাকলেও বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে জয়টা মোহনবাগানকে অনেকটাই সুবিধা করে দিয়েছে। কারণ পরপর জামশেদপুর এবং চেন্নাইয়ের সঙ্গে ড্র করার পর ঘরের মাঠে ম্যাচের আগে চাপ বাড়িয়েছিল সাদিকুদের জয়। এই নিয়ে ১০টি ম্যাচে মোহনবাগান ক্লিনশিট বজায় রাখল। আর টানা ১৭টা হোম ম্যাচেই গোলের নজির গড়ল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
এরপর মহমেডান স্পরটিং-এর বিরুদ্ধে তাঁরা নামবে শনিবার। পরের হোম ম্যাচ আগামী সপ্তাহের বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি। এরপর রয়েছে দু'টি অ্যাওয়ে ম্যাচ। কেরলের বিরুদ্ধে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ওড়িশা এফসির সঙ্গে ২৩ ফেব্রুয়ারি। আর মার্চের শুরুতেই লিগ শিল্ড নির্ধারণ করতে মোহনবাগানকে হোম ম্যাচে খেলতে হবে সব থেকে কঠিন দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ১মার্চ প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি, ৮ মার্চ প্রতিপক্ষ এফসি গোয়া।
জিতলেও মোলিনা মতে, 'এক ধাপ এগোনো গেছে শিল্ড জয়ের দিকে, সেকথা সত্যি। কিন্তু এখনও অনেকটা পথ বাকি। কারণ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে দল জিতলেও সবুজ-মেরুনের দখলে বল প্রায় ছিল না বললেই চলে। আর সুনীলরা যা সব গোল মিস করেছেন, তা গোলে ঢুকলে সবুজ মেরুন সমর্থকদের খালি হাতেও ফিরতে হতে পারত।
সবথেকে বড় কথা এফসি গোয়ার উপর চাপ বাড়াল মোহনবাগান। কারণ, জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে জিততেই হবে গোয়াকে। তবেই তারা লিগ শিল্ডের লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে। ১৭ ম্যাচে গোয়ার পয়েন্ট ৩৩। ফলে এক ম্যাচ এখনও কম খেলেছে মানেলোর দল। সেই ম্যাচ জিতলে আবার মহনবাগানের সঙ্গে পয়েন্টের পার্থক্য দাঁড়াবে ৪। সেক্ষেত্রে ফের চাপ এসে পড়বে মোহনবাগানের উপর। মহমেডানের বিরুদ্ধে জিততেই হবে সবুজ-মেরুনকে। ফলে লিগ শিল্ড নিয়ে উত্তেজনা যে আরও জমতে পারে তা স্পষ্ট।