মরসুমের প্রথম ডার্বি ভেস্তে গিয়েছিল আরজি কাণ্ডের জেরে। আর এবার সংশয় আইএসএল-এর দ্বিতীয় বড় ম্যাচ নিয়ে। গঙ্গাসাগরের মেলার জন্য নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে দাবি বিধাননগর কমিশনারেটের। ফলে পিছিয়ে যেতে পারে ১১ জানুয়ারির মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট-ইস্টবেঙ্গলের (Mohun Bagan Super Giant vs East Bengal) ম্যাচ।
কেন পেছতে পারে ডার্বি?
এখনও অবধি সরকারিভাবে কিছু জানানো না হলেও, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোহনবাগান কর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলায় নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আর সেই কারণেই ১১ জানুয়ারির ডার্বি ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এই ম্যাচের আয়োজক মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সবুজ-মেরুন ক্লাব সূত্রের খবর, ২ জানুয়ারি একটি হোম ম্যাচ আছে তাদের। একই ভাবে ডার্বিও রয়েছে। ২ জানুয়ারির ম্যাচ করার অনুমতি পেলেও, পাওয়া যায়নি ডার্বির অনুমতি।
কেন সমস্যা হচ্ছে ডার্বি নিয়ে?
কিন্তু ডার্বি আয়োজনে ১২০০পুলিশ দরকার হয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট মূল দায়িত্বে থাকলেও দুই ২৪ পরগনার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের একাংশ নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর কাজে থাকে। কিন্তু গঙ্গাসাগরের মেলায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার সুনিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দরকার। যার জোগান কেবলমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগরগনার পুলিশ কমিশনারেট করে উঠতে পারে না। ফলে পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর থেকেও পুলিশ কর্মীরা মেলায় নিরাপত্তা দিতে যান।
৫ থেকে ৬ হাজার পুলিশ গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তায় থাকেন। তবে সরকারিভাবে ডার্বির নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের অপ্রতুলতার চিঠি সুপার জায়েন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। কিন্তু সুপার জায়েন্ট সূত্র বলছে, পুলিশের অভাবে ম্যাচ আয়োজন যে কঠিন তার বার্তা মৌখিকভাবে চলে এসেছে। সরকারিভাবে পুলিশ না-পাওয়ার কথা না-জানতে পারায় আইএসএল কর্তৃপক্ষকেও আয়োজক সুপার জায়ান্ট বলতে পারছে না। ডার্বি আয়োজনে তাই সংশয়ের মেঘ জমতে শুরু করেছে।
শীর্ষেই মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট
এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শীর্ষে রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলও প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান ডার্বির উন্মাদনায় প্রভাব ফেলে না। তবে পুলিশের অপ্রতুলতা ডার্বির সম্ভবনায় প্রভাব ফেলতে পারে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ডার্বি আয়োজনে নিরাপত্তার জটিলতা নতুন নয়। তবে তা সামলে ডার্বি হয়েছে। চলতি আইএসএলে আরজি কর আন্দোলনের প্রভাবে ডার্বি পিছিয়ে গিয়েছিল।