ফের ডার্বিতে (Kolkata Derby) ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হার। ম্যাচের ২ মিনিটে গোল করেন জেমি ম্যাকলরেন (Jamie Maclaren)। তবে ম্যাচের পর লাল-হলুদ সমর্থকরা ফের দায়ী করতে পারেন রেফারিকে। তবে ম্যাচে খুব বেশিবার জেতার মতো খেলেইনি অস্কার ব্রুজোর দল। যতবার দুইদিক থেকে ক্রস তুলেছে ইস্টবেঙ্গল ততবারই দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছেন টম অ্যালড্রেড ও আলবার্তো রদ্রিগেজ।
তিন স্টপারেও হারল ইস্টবেঙ্গল
লালচুংনুঙ্গা, হিজাজি মাহের, হেক্টর ইউস্তেকে স্টপারের ভূমিকায় নামালেও, কাজের কাজ হয়নি। ম্যাচের ২ মিনিটে যে গোল ইস্টবেঙ্গল খেয়েছে, সে ক্ষেত্রেও ইয়ুস্তের ভুল। আশিস রাইয়ের পাস পায়ে লাগাতে পারেননি হিজাজি মাহের। ম্যাকলারেন ঠিক জায়গায় ছিলেন। হেক্টর ইয়ুস্তেকে টপকে ঠান্ডা মাথায় প্রথম পোস্টে প্রভসুকান গিলকে গোল দেন তিনি।
সৌভিকের লাল কার্ড পার্থক্য গড়ল?
সৌভিক চক্রবর্তী দুইবার হলুদ কার্ড দেখে পরিস্থিতি আরও জটিল করে দেন। শেষদিকে আক্রমণে লোক বাড়ানোর পরিবর্তে এক ফুটবলারের কম খেলা সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলের। প্রতি-আক্রমণ থেকে বল পেয়ে এগোচ্ছিলেন লিস্টন। সৌভিক ছাড়া কোনও লাল-হলুদ ডিফেন্ডার তাঁর সামনে ছিলেন না। বাধ্য হয়ে ট্যাকল করতে গিয়ে ফাউল করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার। ফলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, অর্থাৎ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১০ জনে হয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বাধ্য হয়ে আক্রমণ ভাগের ফুটবলার ডেভিডকে তুলে মাঝমাঠে মহেশ নাওরেমকে নামান লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো।
ফের পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত ইস্টবেঙ্গল
প্রথমার্ধের শেষ দিকে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠল। বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগান মোহনবাগানের আপুইয়া। পেনাল্টির আবেদন করেন লাল-হলুদ ফুটবলারেরা। কিন্তু রেফারি তাতে সাড়া দেননি। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা যায়, আপুইয়ার হাতে বল লেগেছিল। সেই সময় ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পেয়ে গেলে খেলার ছবিটা বদলে যেতে পারত।
তিন পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল মোহনবাগান
১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষেই থাকল সবুজ-মেরুন। হারের পর ১১তেই থাকল ইস্টবেঙ্গল। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪ পয়েন্ট।