১৫ বছর আগের বর্ষবরণের রাত। সেবারেও ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচের আগে অনেকটাই এগিয়ে ছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। হোসে রামিরেজ ব্যারেটোরা (Jose Ramirez Barreto) আগের ডার্বিতেই পাঁচ গোল দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। আন্ডারডগ ইস্টবেঙ্গল যেন পাত্তাই পাচ্ছিল না ম্যাচের আগে অবধি। তার উপর আবার ভাইচুং ভুটিয়ার (Bhaichung Bhutia) চোট। বড় ম্যাচে নামা নিয়ে সংশয়।
সেই ম্যাচে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ ফিলিপ ডি রাইডার। ব্যারেটোর পেনাল্টি মিস থেকেই খেলা ঘুরে যায়। ইয়ুসুফ ইয়াকুবুর গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ভাইচুংদের। চোটের জন্য প্রথম থেকে না খেললেও, পরে নেমে মোহনবাগানের ম্যাচে ফেরার সব আশা শেষ করে দেন পাহাড়ি বিছে। একেবারে শেষ দিকে নিজেদের ডিফেন্ডারদের থেকে বল নিয়ে মোহনবাগানের চারজনকে ড্রিবল করে একটা ডাউন দ্য মিডল দৌড় দেন ভাইচুং। তারপর বক্সের মাথায় মেহতাবকে থ্রু। সেখান থেকে গোল।
আর সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি ব্যারেটোরা। ডার্বি জিতে বছরের প্রথম দিনে পুরো দল নিয়ে গুয়াহাটির মল্টিপ্লেক্সে ‘থ্রি ইডিয়টস’ দেখতে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দল। ২০০৯-এর পর আবার ডার্বি অসমের রাজধানিতেই। আবার এগিয়ে সেই মোহনবাগান। তবে ইস্টবেঙ্গল কি পারবে ভাইচুং-এর দলের মতো ঘুরে দাঁড়াতে? সেটাই বড় প্রশ্ন। ফিলিপ ডি রাইডারের হাতে ছিলেন ইয়াকুবুর মতো স্ট্রাইকার। তবে এবার অস্কার ব্রুজোর হাতে ডিমানটাকোস, ডেভিড। তবে ডিফেন্সের যা অবস্থা তাতে ভয় আরও বেড়েছে সমর্থকদের।
তবুও ডার্বি ম্যাচে নামার আগে কেউ এগিয়ে থাকে না। এটাই ময়দানের মিথ। আইএসএল-এ শেষ ৯ ম্যাচের রেকর্ড যা বলছে, তাতে সেই মিথ ভেঙে গিয়েছে। শেষ আট ম্যাচ হেরেছে লাল-হলুদ। এক ম্যাচ ড্র। এই টুর্নামেন্টে প্রথম ডার্বি জিততে পারলে তো কথাই নেই, ড্র হলেও নৈতিক জয় হবে ইস্টবেঙ্গলের। আর সেদিকেই তাকিয়ে সমর্থকরা।