
১৯ জুলাই সম্ভবত মরসুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। ইতিমধ্যেই কলকাতা লিগে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট (Mohun Bagan Super Giant)। দুটি ম্যাচে জয় পেলেও রক্ষণ নিয়ে এখনও বেশ চিন্তায় রয়েছেন ডেগি কার্ডোজো। তাই ডার্বির আগে দলের রক্ষণে গভীরতা বাড়াতে মূল দলে খেলা অভিজ্ঞ দীপেন্দু বিশ্বাসকে (Dipendu Biswas) ডাক পাঠানো হল।
বুধবার রাজারহাট ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিলেন দীপেন্দু। আগামী শুক্রবার জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই ম্যাচে দীপেন্দু প্রথম একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে প্রথম দিনের অনুশীলনে বেশ চনমনে মেজাজেই দেখা গেল এই বঙ্গতনয়কে।
শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ সাজঘরে জিম সেশন সারেন দীপেন্দু। তারপর সতীর্থদের সঙ্গে বল পায়ে মাঠে নেমে পড়েন তিনি। সন্দীপ, মার্শাল, পাসাংদের সঙ্গে চুটিয়ে অনুশীলন করেন। সাইডলাইন ধরে বেশ কয়েক পাক দৌড়াতেও দেখা যায় তাঁকে। অন্যদিকে, প্রথম একাদশের সকল ফুটবলার রিকভারি সেশন সারলেও, অনুশীলনে বাড়তি ঘাম ঝড়ালেন সালাহউদ্দিন। সিচুয়েশন প্র্যাক্টিসের সময়ে রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের সঙ্গে অনুশীলন করলেন।
সম্ভবত বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন কিয়ান নাসিরি। শীঘ্রই যোগ দেবেন সুহেল ভাট। প্রসঙ্গত, জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে রিজার্ভ বেঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ডেগি কার্ডোজো। এদিন অনুশীলন শেষে দীর্ঘক্ষণ গুরনাজ গ্রেওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। অর্থাৎ ডার্বির আগে নিজেদের পুরোপুরি প্রস্তুত রাখতে চাইছে মোহনবাগান। কারণ গত মরসুমে এই ম্যাচটাই হারতে হয়েছিল সবুজ-মেরুনকে। সুপার সিক্স থেকেও ছিটকে যেতে হয়েছিল। সিনিয়র দলের পাশাপাশি জুনিয়র দলকে নিয়েও বেশ সিরিয়াস সবুজ-মেরুন।
এর মধ্যেই মোহনবাগান চিঠি দিয়েছে আইএফএকে। তদের অভিযোগ, একটি ক্লাবকে তাদের আবদারে ম্যাচের সময় বদলে দেওয়া অবধি ঠিক ছিলো, কিন্তু শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাতিল? যেখানে মোহনবাগানকে খেলতে হচ্ছে ৩ দিন পরে পরেই। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট! আসলে ইস্টবেঙ্গল বনাম বিএসএস ম্যাচ হঠাৎ বাতিল হয়ে যাওয়া নিয়েই সমস্যা। গতকাল মহমেডান - ইউনাইটেড ম্যাচ যে মাঠে হয়েছে, তার থেকে গতকাল মাঠের পরিস্থিতি অনেকগুন ভালো ছিলো। সেই মাঠে গত পরশু মোহনবাগানের খেলা হলেও গতকাল মাঠের অজুহাত দিয়ে অজ্ঞাত কারণেই পিছিয়ে গেলো ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ।
আগামী সপ্তাহে কলকাতা ডার্বি, তার আগে মোহনবাগানকে খেলতে বাধ্য করা হচ্ছে মোট ৫টি ম্যাচ, যেখানে প্রতিপক্ষ লাল-হলুদ তুলনামূলক কম ম্যাচ খেলেই মাঠে নামবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে সমস্যা ছিলো না, কিন্তু, যে ধরনের মাঠে পরপর ম্যাচ খেলছে মোহনবাগান, তাতে প্লেয়ারদের চোট, আঘাত-এর সম্ভবনা বাড়তে পারে!