
মহমেডান স্পোর্টিং-এ ডামাডোল অব্যহত। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে অনুশীলনে দেখা গিয়েছে মাত্র পাঁচজন ফুটবলারকে। বেতন সমস্যার মাঝেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইনভেস্টর শ্রাচী গ্রুপ। সাদা-কালো ক্লাবকে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে, ক্লাবের শেয়ার না পেলে তারা আর বিনিয়োগ করবেন না।
চেন্নাইয়েন এফসি ম্যাচের আগে প্রথমবার ফুটবলারদের বেতন সমস্যার কথা সামনে এসেছিল। অনুশীলনেই নামতে চাননি কাসিমভরা। এরপর ক্লাব কর্তারা এসে সমস্যা মেটান। সেই ম্যাচ কোনওমতে মহমেদান ড্র করে ২-২ গোলে। সোমবার অনুশীলনে আসেননি ফুটবলারদের একটা বড় অংশ। আর মঙ্গলবার জিম সেশনেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৫ ফুটবলারই। আগের ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল ইতিমধ্যেই ক্লাবকে কোর্টের চিঠি পাঠিয়েছে। পাশাপাশি শ্রাচী গ্রুপের অভিযোগ, তাঁরা তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করলেও, ক্লাব তা করেনি। সেই কারণেই সমস্যা হচ্ছে।
তাদের দাবি, যত টাকা খরচ করার কথা ছিল, তার ৫০ শতাংশ তাঁরা করে ফেললেও, ক্লাবের কোনও শেয়ার তাদের ছাড়া হয়নি। যা চুক্তির সময় বলা ছিল। পাশাপাশি তাদের হাত পা বাঁধা বলেও জানিয়েছে শ্রাচী স্পোর্টস। তাদের দাবি, প্লেয়ারদের কথা মাথায় রেখে এবং ক্লাবের অগণিত সমর্থকের কথা চিন্তা করে ক্লাব ও বাঙ্কারহিল কর্তাদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা চালিয়ে যাবেন। চেষ্টা করবেন এই সমস্যা দ্রুত মেটানোর। কোনও সমাধান সূত্র না বেরনো অবধি তারা যেভাবে সমস্ত কাজ তারা করছেন সেভাবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে কোনোভাবেই নতুন বিনিয়োগ করবেন না।
মহমেডান আইএসএল-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর, শ্রাচী স্পোর্টস তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এর আগের ইনভেস্টর বাঙ্কারহিলকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন ক্লাব কর্তারা। সভাপতি আমিরউদ্দিন ববি বলেন, ‘শ্রাচি গ্রুপকে ভুল পথে পরিচালিত করে অর্থ নিচ্ছে অন্য ইনভেস্টার বাঙ্কারহিলের কিছু লোক।’ কিছুদিন আগেই স্যোশাল মিডিয়ায় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন বাঙ্কারহিল কর্ণধার দীপক কুমার সিং। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ক্লাবের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছিল বাঙ্কারহিল কর্মীদের নিয়ে, তার নিন্দা করার পাশাপাশি ক্লাবের কাছে এই মন্তব্যের সপক্ষে প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে । তাদের এমন মন্তব্যে আমাদের সংস্থা এবং সেখানকার কর্মীদের মানহানি হয়েছে।'