হায়দরাবাদের গাচ্চিবাউলি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের এফসি-র (Hyderabad FC) বিরুদ্ধেও হেরে গেল মহমেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting)। ১৮ ম্যাচে মাত্র দুটি জয় নিয়ে টেবিলের তলানিতেই থাকল তারা। শনিবারের ম্যাচে সাদা-কালো শিবিরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল হায়দরাবাদ। ম্যাচের ২৪ মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় হায়দরাবাদ। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে ব্যবধান বাড়ায় তারা। ম্যাচের শেষ দিকে জোসেফের গোল মহমেডানের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন তিনি।
ঘরের মাঠেও হারের মুখ দেখতে হয়েছিল মহমেডানকে। শনিবারের ম্যাচে সুযোগ ছিল, সেই ম্যাচের বদলা নেওয়ার। তবে তা হল না। কার্ড সমস্যার জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি কাশিমভ। মহমেডান এই ম্যাচে প্রাধান্য নিয়েই খেলেছে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ ১৩টা শট। যদিও তার মধ্যে মাত্র ৪টেই ছিল টার্গেটে। বল দখলের ডিক থেকেও এগিয়ে সাদা-কালো শিবির। তবে গোল আসেনি।
মহমেডান পিছিয়ে পড়ে গোলকিপার ভাস্কর রায়ের ভুলে। অ্যালান দে সুজা মিরান্ডার দুরন্ত গোল নিয়ে মহমেডানের ডিফেন্সও নিজেদের দায় এড়াতে পারে না। মহম্মদ রফির বাড়ানো দারুণ থ্রু বলে পা ছুঁয়ে গোল করে যান হায়দরাবাদ স্ট্রাইকার। প্রায় কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি সাদা-কালো ক্লাবের ডিফেন্ডাররা।
এরপর প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন তরুণ ফুটবলার রামহলচুঙ্গা। বক্সের একেবারে মাথা থেকে পাওয়া ফ্রিকিক গোলে রাখতে ভুল করেননি তিনি। একেবারে ওয়ালের মাথার উপর দিয়ে চলে যায় বল। ভাস্কর বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই বল ছুঁলেও তা গোলের বাইরে বের করতে পারেননি। ফলে ভাস্করের হাতে লেগেই তা গোলে ঢুকে যায়।
ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান কমান মাকেন ছোটে। কর্নার থেকে ডান পায়ের ফ্লিকে গোল করেন মাকেন ছোটে। হায়দরাবাদ তাঁর পুরনো ক্লাব। তাই তাঁকে পরিবর্ত হিসেবে নামান কোচ মেহেরাজুদ্দিন ওয়াডু। তাতে ব্যবধান কমলেও কাজে কাজ হয়নি। ছয় মিনিট অতিরিক্ত সময় পেলেও গোল শোধ হয়নি।
ম্যাচের শেষ লগ্নে ব্যবধান বাড়ান জোসেফ। মিরান্ডার সাজানো পাস থেকে ব্যবধান বাড়িয়ে যান এই তারকা।