
নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে মোহনবাগান ক্লাবে (Mohun Bagan Club)। তার আঁচ পড়েছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের (Mohun Bagan Super Giant) ম্যাচেও। বিভিন্ন হোম ম্যাচে দুই গোষ্ঠীই সবুজ-মেরুন জার্সি পরেই নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে। কখনও টিফো পড়েছে দেবাশিস দত্তের সমর্থনে, কখনও আবার প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর সমর্থনে গলা ফাটিয়েছেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের একাংশের।
রবিবার যখন লিগ শিল্ড (ISL League Shiled) ট্রফি নিশ্চিত করতে নামছে মোহনবাগান তখন টিফোতে দেখা গেল, 'ভাগ্যিস ছিল দেবাশিস...' ছিল মানে কী? তিনি তো এখনও মোহনবাগান ক্লাবেরই সচিব। তা হলে 'ছিলো' শব্দের মানে কী? এ নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলেছেন সৃঞ্জয় গোষ্ঠীর একাংশ। তবে রবিবার কিছুটা চুপচাপই দেখা গিয়েছে দেবাশিসকে। অন্যদিকে ম্যাচ চলাকালীন কিন্তু বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন সৃঞ্জয়রা। মোহনবাগানে আড়াআড়ি বিভাজন প্রায় প্রকাশ্যেই চলে এল।
লিগ শিল্ড ম্যাচের আগে শনিবার ক্লাবে নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা সেরেছেন প্রাক্তন ও বর্তমান দুই সচিবই। এক্সিকিউটিভ কমিটির সভায় কোন নিয়মে নির্বাচন হবে, ক্লাবের নিজস্ব পুরোনো নিয়ম মেনে নাকি বর্তমানে সোসাইটি অফ রেজিস্ট্রেশনের আওতায় চলে আসা নিয়মে, এই নিয়ে একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
শাসক গোষ্ঠীর একাংশের মত, আগস্ট পর্যন্ত এই কমিটি কাজ চালাতেই পারে। অন্য দিকে, বিরোধী গোষ্ঠীর মতে, সোসাইটি অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টে ৩ বছরের মেয়াদ পূরণের পর একদিনও এই কমিটি ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এই নিয়ে জট ছাড়াতে এগিয়ে আসেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ম মেনে নির্বাচন অবশ্যই জরুরি। তার জন্য বোর্ড তৈরি হোক। আর কোন্ নিয়মে হবে, তার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কিশোর গুপ্তর পরামর্শ নেওয়া উচিত।' কার্যকরী কমিটির সদস্যরা কুণালের এই প্রস্তাব মেনে নেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম রায়ের চেয়ারম্যানশিপে ৫ সদস্যের বোর্ড গঠন হয়েছে। সচিব দেবাশিস দত্ত জানান, এদিন সদস্যদের একাংশের মত কার্যকরী কমিটি শুনেছে। মোহনবাগান ক্লাবে সব মিলিয়ে ১০ হাজার সদস্য আছেন। তাঁদেরও বক্তব্য পেশ বা মত প্রকাশের সুযোগ পাওয়া উচিত। তাঁদের কথা ভেবেই ১০ থেকে ১৫ দিন মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হবে।