হোসে মলিনাডার্বি ম্যাচ ড্র করে সুপার কাপ থেকে ছিটকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সকলেই যখন মলিনার ভুল রণকৌশলকে দায়ী করছেন তখনই ক্লাব ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সবুজ-মেরুন কোচ। জানিয়ে দিলেন, তাঁর সিদ্ধান্তের নাকি কোনও দামই নেই ক্লাবে।
গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থেকেই ডার্বি শুরু করেছিল হোসে মলিনার দল। ম্যাচ জিততে না পারলে বিদায়। সহজ অঙ্ক। তবুও ম্যাচ বের করতে কেন ছয় বিদেশীকে ঠিকভাবে ব্যবহার করল না দল? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠবেই। আর এই প্রশ্ন করতেই বোমা ফাটালেন সবুজ-মেরুনের স্প্যানিশ কোচ। জানিয়ে দিলেন, 'সই ম্যানেজমেন্ট করিয়েছে আমি একজন বিদেশি মিডফিল্ডার সই করাতে চেয়েছিলাম, ম্যানেজমেন্ট করতে দেয়নি! ইস্টবেঙ্গল ভালো ফুটবলার সই করেছে বলে তারা উন্নতি করেছে।'
আধুনিক ফুটবলে, কোচের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। সেখানে মলিনার এমন বক্তব্য আলোড়ন ফেলবে তা স্বাভাবিক। এ মরসুমে আইএফএ শিল্ড ছাড়া ট্রফি ঢোকেনি মোহনবাগানে। দেশের সেরা ক্লাবের তকমা ধরে রাখতে ব্যর্থ দল। ফলে বিতর্ক বাড়ছে। এফসি লিগ ২-এ ইরানে খেলতে না যাওয়ার দায় কার? তা নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল মোহনবাগানে, তা শিল্ড জেতার পর কিছুটা সামাল দেওয়া গিয়েছিলো। তবে শুক্রবার সুপার কাপ থেকে বিদায়ের পর মলিনার বক্তব্য নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে দিল।
আইএসএলের ভবিষ্যৎ কী তা এখনও জানা যায়নি। তবে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলে মলিনা তাঁর চাকরি টিকিয়ে রাখতে পারবেন কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন। গোটা ম্যাচে শেষদিকটা ছাড়া একবারও মনে হয়নি বাড়তি তাগিদ নিয়ে খেলতে নেমেছে মোহনবাগান। ক্লান্তিই কী এর জন্য দায়ী? সেটাও স্পষ্ট নয়। চলছে দোষারোপের পালা। উল্টে প্রথমার্ধে তাগিদ বেশি ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। গোলমুখ একবার খুলেও ফেলেছিলো তারা। বারে বল না লাগলে জিতেই মাঠ ছাড়তে পারত লাল-হলুদ। মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও বার একবার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তবে সেভাবে সুযোগ তৈরির কথা যদি বলতে হয়, সেটা পারেনি সবুজ-মেরুন। বারবার মাঝমাঠে পায়ের জঙ্গলেই আটকে গিয়েছেন জেমি ম্যাকলরেন, লিস্টন কোলসোরা। জেসন কামিন্স মাঠে নামার পর গতি বাড়লেও, গোল আসেনি।
অর্থাৎ গ্রেগ স্টুয়ার্টের বিকল্প যে এখনও খুঁজে পাননি মলিনা তা পরিস্কার। সে কারণেই কি ক্ষোভ উগরে দিলেন মলিনা? নাকি এর পেছনে অন্য কারণ রয়েছে? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।