মেহেতাব সিং এবার মোহনবাগানে। ভারতের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার এ মরসুমে সবুজ মেরুন জার্সি পরে মাঠে নামবেন। শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শনিবার সকালে পঞ্জাবের সাতাশ বছর বয়সী এই ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। ইস্টবেঙ্গলও চেয়েছিল, এই ডিফেন্ডারকে সই করাতে, তবে শেষ অবধি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবুজ-মেরুনের জালে ধরা দিলেন তিনি।
মুম্বইয়ের জার্সিতে দুবার আই এস এল লিগ ও শিল্ড জয়ী মেহতাবের যোগদানে হোসে মোলিনার দলের রক্ষণের শক্তি অনেকটাই বাড়বে। জাতীয় দলের স্টপার মেহতাব স্টপার ছাড়াও খেলতে পারেন সাইড ব্যাকে। ফলে মলিনার ফুটবলার বদলানোর সুযোগ আরও বাড়বে। অভিজ্ঞতা ও সফল ফুটবলার হিসাবে নিজেকে ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন মেহতাব কলকাতায় প্রায় চার বছর খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। খেলেছেন ডার্বিও। আজ শনিবার বিকেলেই দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন তিনি।
মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর এমবিএসজি মিডিয়া টিমকে মেহতাব সিং বলেন, 'মোহনবাগানে খেলার স্বপ্ন ভারতের সব ফুটবলারেরই থাকে। আমারও ছিল। সেই স্বপ্ন সফল হল। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট অত্যন্ত শক্তিশালী দল। দলে ভাল মানের বিদেশি ও জাতীয় দলের বেশিরভাগ সেরা ফুটবলাররা খেলে। কোচও অত্যন্ত সম্মানীয়, অভিজ্ঞ এবং সফল। ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সুনাম ও সাফল্য প্রশ্নাতীত। আমার কাছে কলকাতার আরও ক্লাবের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু মোলিনার টিমে খেলতে পারলে নিজেকে আরও প্রতিষ্ঠিত ও সমৃদ্ধ করতে পারব বলেই এখানে এসেছি ক্লাবের টিম ম্যানেজমেন্টও খুব ভাল। তাঁরা স্বপ্ন দেখতে জানে।'
মুম্বইয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই দ্রুত মোহনবাগানে নিজেকে মানিয়ে নিতে চান মেহতাব। বলেন, 'মুম্বই এফ সি-র হয়ে আমি আই এস এল-এর লিগ, শিল্ড দুবার করে জিতেছি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা এবার প্রথম দিন থেকেই কাজে লাগবে। কারণ আমাদের প্রথম ম্যাচই খেলতে হবে এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের। ১৬ সেপ্টেম্বর। মুম্বইয়ের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলার অভিজ্ঞতা টিমের সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। চেষ্টা করব, টিমের সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মানিয়ে নিতে।'
কলকাতার ক্লাবের হয়ে খেলার অর্থ কী তা ভালভাবেই জানেন ইস্টবেঙ্গল ইউথ অ্যাকাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার। লাল-গলুদে ফিরে না গেলেও, মোহনবাগানে সই করে উচ্ছ্বসিত এই ডিফেন্ডার বলেন, 'কলকাতায় খেলার উত্তেজনাই আলাদা। আর মোহনবাগানের সভ্য-সমর্থক তো দেশের সেরা। তাদের প্যাশন এবং আবেগ সম্পর্কে আমার সবকিছুই জানা। ডার্বি খেলার মজাও আলাদা। সবুজ-মেরুন জার্সিতে ডার্বি জিততে চাই। স্বপ্ন ও লক্ষ্য ছাড়া কোনও ফুটবলার সফল হতে পারে না। আমিও স্বপ্ন দেখছি আমার ট্রফি ক্যাবিনেটে আরও কিছু ট্রফি এবার জমা হবে। সবার আগে আমার লক্ষ্য থাকবে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচ জেতা।'