Mohun Bagan vs Railway FC: চোট পাওয়া ফুটবলারের পায়ে ছাতা সাপোর্ট দিয়ে ব্যান্ডেজ, ফের প্রকাশ্যে IFA-র দুর্দশা

মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে এফসি ম্যাচে বিরাট বিতর্ক। কলকাতা লিগের তৃতীয় ম্যাচে বড় দলের মতোই জয় পেয়েছে মোহনবাগা সুপার জায়েন্ট। তবে বিতর্ক খোদ আইএফএ-এর ভূমিকা নিয়ে। ম্যাচে গুরুতর চোট পাওয়া তারক হেমব্রমের শুশ্রুষা চলল পায়ের দুই পাশে ছাতা দিয়ে। যা নিয়ে উত্তাল বিতর্ক শুরু হয়েছে ময়দানে।

Advertisement
চোট পাওয়া ফুটবলারের পায়ে ছাতা সাপোর্ট দিয়ে ব্যান্ডেজ, ফের প্রকাশ্যে IFA-র দুর্দশাআহত তারক হেমব্রম

মোহনবাগান বনাম রেলওয়ে এফসি ম্যাচে বিরাট বিতর্ক। কলকাতা লিগের তৃতীয় ম্যাচে বড় দলের মতোই জয় পেয়েছে মোহনবাগা সুপার জায়েন্ট। তবে বিতর্ক খোদ আইএফএ-এর ভূমিকা নিয়ে। ম্যাচে গুরুতর চোট পাওয়া তারক হেমব্রমের শুশ্রুষা চলল পায়ের দুই পাশে ছাতা দিয়ে। যা নিয়ে উত্তাল বিতর্ক শুরু হয়েছে ময়দানে।

ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মার্শাল কিষ্কুর ট্যাকলে চোট পেয়ে গুরুতর আহত হন বাংলা দলের প্রাক্তন ফুটবলার। অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়েন রেলের তারক, লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে বলেই খবর। এরপরেই দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে গিয়ে আহত হওয়া পায়ের দুই পাশে দুটো ছাতা দিয়ে রাখা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সামান্য ফার্স্ট এইড এর ব্যবস্থা নেই? ছাতা দিয়ে পায়ের এত গুরুতর চোটের চিকিৎসা করা হচ্ছে? 

বিরাট বড় করে কলকাতা লিগের সুচনা হয়েছিল এ মরসুমে। পাঁচতারা হোটেলে জাঁকজমক করে করা হয়েছিল কলকাতা লিগের সুচনা। তবে লিগ শুরু হতেই বাংলার ফুটবল সংস্থার দৈনদশা দেখা যেতে শুরু করে। নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের জন্য ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ থেকে শুরু করে এবার আরও মারাত্মক অভিযোগ। প্রিমিয়ার ডিভিসশনের ম্যাচে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে পারল না আইএফএ? এ ব্যাপারে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন তোলেননি।  

ম্যাচের ছয় মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। সালাহ ক্রস থেকে গোল করেন অধিনায়ক সন্দীপ মালিক। ৩৩ মিনিটে নীতিশ কুমার মন্ডল শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। ৪৬ মিনিটে পাসাংয়ের সেন্টার টংসিনের হেড বিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। পরিবর্ত হিসেবে নামা সবুজ-মেরুনের শিবম মুন্ডা সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। কিন্তু সেই তিনিই আবার ২-০ করেন সবুজ-মেরুনের হয়ে।  লিগে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেলল মোহনবাগান। তার মধ্যে সবুজ-মেরুনের জয় দুটিতে।  

এই ম্যাচে দুই দলই লালকার্ড দেখে। দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে গিয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দু'দলের ফুটবলাররা। মাঠের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রিজার্ভ বেঞ্চেও। রেফারি লাল কার্ড দেখান মোহনবাগানের সালাউদ্দিনকে। হলুদ কার্ড দেখেন সবুজ-মেরুনের সাহিল। রেলওয়ে এফসির গোলকিপার এবং অধিনায়ক সুদীপ্ত তেড়ে যান বাগান খেলোয়াড়দের দিকে। তাঁকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। লাল কার্ড দেখেন রেলওয়ের সৌমিক কোলে। মোহনবাগানের টিম ম্যানেজার রাহুল দত্তকেও লাল কার্ড দেখানো হয়। খেলা বন্ধ থাকে দীর্ঘক্ষণ।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement