বড়দের পাশাপাশি ছোটদের কলকাতা ডার্বিতেও যেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের কাছে হারাটা অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে এআইএফএদের ইয়ুথ লিগের অনুর্ধ্ব ১৫ বিভাগের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান ৪-২ গোলে হারায় ইস্টবেঙ্গলকে। কয়েক সপ্তাহ আগে এই ধরনেরই বয়সভিত্তিক টুনামেন্ট করেছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। তাতে সবুজ মেরুনের এই অনূর্ধ্ব ১৫ টিম পূর্বাঞ্চল বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ১২ ম্যাচে অপরাজেয় থেকে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে। সেখানেও ইস্টবেঙ্গলকে দু'বার হারিয়েছিল মোহনবাগান।
বাঁশবেড়িয়ার মাঠে দীর্ঘমেয়াদী শিবির করে মোহনবাগানের ইউথ ডেভেলপমেন্টের কাজ করছেন কোচ তনুময় বসু। তিনিই স্কাউটিং করে তুলে এনেছেন হালিশহরের স্ট্রাইকার রাজদীপ পালকে। রাজদীপ এ দিন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন। বাগানের আর একটি গোল রোহিত বর্মণের। রিলায়েন্সের লিগেও রাজদীপ ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিল। এ বার অবশ্য শুধু হ্যাটট্রিক নয়, পাঁচ গোল করতে পারত সে।
ম্যাচ শুরুর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পেনাল্টি পেয়েও তা থেকে গোল করতে পারেননি রাজদীপ। পরে তাঁর শট পোস্টে লেগেও ফেরে।
রবিবার ইউথ লিগের অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে আরও একটি ডার্বি আছে। বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে তনুময় বসুর প্রশিক্ষণাধীন মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব ১৩ টিম মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গলের।
এ দিকে, একই সঙ্গে শহরে চলছে ড্রিম স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ নামের আরও একটি ইউথ ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেটা অনুর্ধ্ব ১৭ বছর বয়সীদের। ডেগি কার্ডোজোর প্রশিক্ষণে থাকা মোহনবাগানের অনূর্ধ্ব ১৭ টিম সেই টুনামেন্টে পুর্বাঞ্চল বিভাগে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংকে। শুধু সিনিয়র দল নয়, জুনিয়র দলেও একের পর এক তারকা তৈরি করে যাচ্ছেন তনুময় বসু, ডেগি কার্ডোজোরা। ফলে সিনিয়র দলে যোগ দেওয়া দিপেন্দু বিশ্বাস বা অভিষেক সূর্যবংশিরা দারুণ খেলছেন। ভবিষ্যতে আরও তারকা উঠে আসবে বলেই আশাবাদী ম্যানেজমেন্ট। মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা মনে করেন, বাইরে থেকে ফুটবলার না এনে নিজেরা তৈরি করাই ভাল। তাতে যেমন খরচ বাচে, তেমনই ভারতীয় ফুটবলেরও উন্নতি হয়।