
এ মরসুমে আইএসএল হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ক্লাব গুলো নিজেদের মতো প্রস্তুতি শুরু করে দিলেও, ভারতের সর্বোচ্চ লিগ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। তা পুরোপুরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন। এর মধ্যেই এই লিগ নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মহারাজ মনে করেন, ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির জন্য আইএসএল এখনই চালু করা উচিত।
কী বললেন সৌরভ?
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এসে সৌরভ বলেন, 'এটা দারুণ একটা টুর্নামেন্ট। ভারতীয় ফুটবলারদের জন্য এটা সেরা মঞ্চ। জীবনে অনেক কিছুই হয়। আশা করব সব সমস্যা মিটে যাবে আর আইএসএল শুরু হবে।' আসলে এফএসডিএল-এর সঙ্গে এআইএফএফ-এর চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। চুক্তি নবীকরণের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত দিয়েছে ফুটবল অ্যান্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। গোটা বিষয়টা এখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন।
ফুটবল খেলতেন সৌরভ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত হলেও, ফুটবলের প্রতি টান রয়েছে তাঁর। সেই কারণেই প্রথমবার আইএসএল-এ এটিকে-র কো ওনার ছিলেন তিনি। ক্রিকেট খেলার আগে, তিনি চুটিয়ে ফুটবল খেলেছেন। পাশাপাশি মহমেডান স্পোর্টিং-এর প্ল্যাটিনাম জুবলি টুর্নামেন্টেও খেলেছেন তিনি। আর সেই কারণেই আইএসএল চালু হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সৌরভ।
জোট বাধছে ক্লাবগুলি
এর মধ্যেই এমন কঠিন সময়ে এবার জোট বাঁধতে চালছেন আইএসএলের বিভিন্ন ক্লাব ও ফ্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে বৈঠক চেয়ে দীর্ঘ চিঠিও দিচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এফসি গোয়া, কেরল ব্লাস্টার্স, নর্থইস্ট ইউনাইটেড, বেঙ্গালুরু এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, পঞ্জাব এফসি, ওড়িশা এফসি ও জামশেদপুর এফসির কর্তারা চিঠিতে সই করেছেন। চেন্নাইয়ান ও ইস্ট বেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত জানাবার আগে সময় চেয়েছে। এছাড়া পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে মোহনবাগান সুপার জায়ন্ট ও মুম্বই সিটি এফসি। তারা আদৌ এই জোটে থাকার কিনা তা স্পষ্ট নয়। ইস্টবেঙ্গলও এখনও জানায়নি।
সঠিক সময় চালু করা যাবে না আইএসএল
চলতি মরসুমে প্রথম টুর্নামেন্টন্ট জুরাক্ত কাপ। ইতিমধ্যেই দল গঠনে দোটা ইনাকস্য কার ফোলাছ বিতির ক্লাব। আইএসএল নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকায় পরাচয়ে সমস্যায় ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকেরা। এর আগে ঠিক ছিল আইএসএল শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। কিন্তু আপাতত সরকিছুই আনিশ্চিত। নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়া কার্যত অসম্ভব। কিন্তু আইএসএল না হলেও ফুটবলারদের বেতন দিতেই হবে। অর্থাৎ দোটা টাকা লোকসান নিশ্চিত। শুধু তাই নয়, একান্তই আই-সে-এল না হলে দল চালাতে আগ্রহী নয় একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি। সূত্রের খবর, এফসি গোয়ার শীর্ষকর্তাদের উদ্যোগেই নাড়াচাড় বসেছেন কর্তারা। নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনাও সারা। ফেতারেশনের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত জবাবদিহি চাওয়া হতে পারে। কিন্তু কল্যাণ চৌবের ফেডারেশন যে বড়ই অসহায়। তাই সমাধানের রাস্তা বেরানা বেশ মুশকিল।