সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে অনিশ্চিত ইস্টবেঙ্গল মিডফিল্ডার সল ক্রেসপো। বৃহস্পতিবার তাই প্রবল বাজ পড়ার মধ্যেও লাল-হলুদের অনুশীলন চলল আধঘণ্টারও বেশি সময়। সামান্য প্রস্তুতিতে কেন এত ঝুঁকি নেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। আসলে ছন্নছাড়া দলের হাল ধরতে মরিয়া অস্কার ব্রুজোরা।
তবে সমস্যা যে ইস্টবেঙ্গলের পিছু ছাড়ছে না, তা পরিষ্কার। বুধবার নিজের আবাসনের সিঁড়িতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন সল ক্রেসপো। সেদিনই সন্ধেবেলা এমআরআই করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতের খবর অনুযায়ী, রিপোর্টে বড় কিছু না এলেও, তাঁর মাঠে ফিরতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। অর্থাৎ, সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অনিশ্চিত তিনি। যা অবশ্যই ইস্টবেঙ্গলের জন্য বড় ধাক্কা। চলতি মরশুমের সিংহভাগ সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরেই কাটিয়ে দিলেন সল। এখন দেখার, তাঁকে ছাড়া সুপার কাপের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠ কেমন পারফরমেন্স করে।
মঙ্গলবার নববর্ষের সকালে অনুশীলন শেষে হেড কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল মাঠে ক্লেইটন সিলভার সমর্থকদের সামনেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পরেই মনে করা হয়েছিল বড়সড় শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন ক্লেইটন। অবশেষে বুধবারই সেই আশঙ্কা সত্যি করে ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে সমাজমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হল যে পারস্পরিক সম্মতিতে দুই পক্ষের চুক্তিভঙ্গ করা হল। প্রসঙ্গত গত রবিবার চেন্নাইয়ন এফসির বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে কোচের সঙ্গে বাদানুবাদের পরে মাঠ ছাড়েন ক্লেইটন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে তাঁর অভব্য আচরণের পরে ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নেয় এভাবে কোচের কথা অমান্য করা কোনও ফুটবলারকে দলের সঙ্গে সুপার কাপে নিয়ে যাওয়া হবে না।
এদিন সকালেই চুক্তিভঙ্গের কাগজে সই করেন ক্লেইটন। বিকালে অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গলের তরফেও বাকি কাজ সম্পন্ন করা হয়। এদিন অনুশীলনে শুধুমাত্র সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতেই এসেছিলেন ক্লেইটন। ড্রেসিংরুমে ঢোকার দশ মিনিট পরে একাই মাঠ ছাড়েন তিনি। ক্লাব সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ক্লেইটনের বাকি বেতন তাঁকে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে শুধু ক্লেইটন নয়, ফিজিও সেনেনকেও বুধবার ছাঁটাই করে দেওয়া হল। তাঁকে অনুশীলনে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। সুপার কাপে আপাতত রিজার্ভ দলের ফিজিও যাবেন।