Super Cup 2025 Mohun Bagan vs Kerala Blasters: সাহাল-সুহেলের গোল, কেরলকে ছিটকে দিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা বাড়াল মোহনবাগান

দুই ভারতীয় ফুটবলারের গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারাল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তারকারা না থাকলেও, রিজার্ভ দল নিয়েই আইএসএল-এর দলকে হারিয়ে দিলেন বাস্তব রায়। বাঙালি এই কোচ দেখিয়ে দিলেন অঙ্ক কষে খেলতে পারলে যে কোনও প্রতিপক্ষের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ খাড়া করা যায়। সাহাল আব্দুল সামাদ ও সুহেল ভাটের গোলে সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন।

Advertisement
সাহাল-সুহেলের গোল, কেরলকে ছিটকে দিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা বাড়াল মোহনবাগানসুহেল ভাট

দুই ভারতীয় ফুটবলারের গোলে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারাল মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। তারকারা না থাকলেও, রিজার্ভ দল নিয়েই আইএসএল-এর দলকে হারিয়ে দিলেন বাস্তব রায়। বাঙালি এই কোচ দেখিয়ে দিলেন অঙ্ক কষে খেলতে পারলে যে কোনও প্রতিপক্ষের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ খাড়া করা যায়। সাহাল আব্দুল সামাদ ও সুহেল ভাটের গোলে সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন। ইনজুরি টাইমে শ্রীকুট্টানের গোলে ব্যবধান কমলেও, তা যথেষ্ট ছিল না।

২২ মিনিটে সাহাল আব্দুল সামাদের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে নাওচা সিং-কে বোকা বানিয়ে এগিয়ে যান সালাউদ্দিন আদনান। তাঁর ক্রস পেয়ে গোল করেন সাহাল। হরমিপাম ও বিকাশ এই গোলের ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। দুই ডিফেন্ডারের ভুলেই কার্যত বিনা বাধায় গোল করে যান সাহাল। প্রথমে একটা ডান পায়ে রিসিভ। তারপর বলটা সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে সোজা গোলে শট। 

২৮ মিনিটে দীপক টাংরির সামনে দিয়েই গোলে শট করেন নোয়া সাদোই। তবে সেভ করেন ধীরজ। ৩০ মিনিটে তাঁর শট ফের বিপদে ফেলেছিল মোহনবাগানকে। তবে দীপেন্দু বিশ্বাসের সেভ ম্যাচের ফল বদলাতে দেয়নি। ৩৮ মিনিয়ে হরমিপামের ডানপায়ের শট কোনওমতে বাঁচান ধীরজ। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ফলেই। 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মিলোস টুইঞ্চিচকে মাটিতে ফেলে ঢুকে পড়েন সালাউদ্দিন। তাঁর শট সচিন সুরেশ বাঁচিয়ে দেন। তবে সুহেল ভাটকে দিলে গোল হতে পারত। ৫১ মিনিটে উল্টোদিক থেকে আসা আশিক ক্রুনিয়ানের ক্রস থেকে গোল করেন কাশ্মীরি স্ট্রাইকার। আরও একবার প্রশ্ন ওঠে হরমিপাম ও বিকাশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। কেন আশিককে বাধা দিলেন না হরমিপাম। কীভাবে বক্সের মধ্যে বিনা বাধায় গোল করার সুযোগ পেলেন সুহেল? 

নুনো রেইস, দীপেন্দু বিশ্বাসদের ডিফেন্স ভাঙতে ব্যর্থ হন পেপ্রারা। সুযোগ পেয়েছিলেন হিমনেজ। একটা নয়, দুটো। দুই ক্ষেত্রেই গোল করতে পারেননি। প্রথম ক্ষেত্রে শ্রীকুট্টানের দেওয়া ক্রস দারুণ রিসিভ করেও শট বাইরে মারেন। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে সরাসরি গোলে শট করলেও তা বাইরে চলে যায়। এরপর পেপ্রার শট দারুণ দক্ষতায় বাঁচান ধীরজ সিং। ৮৩ মিনিটে ফের নোয়ার শট সেভ করেন তিনি। সুহেল ভাটের জায়গায় গ্লেন মার্টিন্সকে এনে বাস্তব রায় কেরলের সব আক্রমণই আটকে দেন।  

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement