
শুক্রবারই ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন খালিদ জামিল। তবে তিনি নাকি কোচ হিসেবে কাজ করতেই চাননি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে আগেই মুখ খুলেছিলেন ৪৮ বছর বয়সী কোচ। তখন তিনি জামশেদপুর এফসি-র কোচ। আইএসএল-এ ভারতীয় কোচেদের সংখ্যা হাতে গোনা। ভারতীয় দলেও কাজ সুযোগ পান না এ দেশের কোচরা।
কীভাবে কোচ হলেন খালিদ?
২০০৮ সালে কোচ হিসেবে অভিষেক হয় খালিদের। সেই সময় মুম্বই এফসি-র হয়ে চুটিয়ে খেলছেন। তবে দলের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য প্রশিক্ষকের দরকার ছিল। সেই সময়ই ক্লাব খালিদকে প্রস্তাব দেয়, সিনিয়র দলে খেলার পাশাপাশি যুব দলের কোচিং করানোর। সেই শুরু। ভাগ্যিস সেই সময় রাজি হয়েছিলেন খালিদ। তিনি বলেন, 'আমি মুম্বই এফসি সিনিয়র দলে ছিলাম। কিন্তু একদিন আমাকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচিং করতে বলা হয়। সিনিয়র দলে খেলার ইচ্ছে ছিল। তাই কোচিং করতে চাইনি। রেগে গিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ অবধি জুনিয়র দলের কোচিং করতে রাজি হয়েছিলাম।' তাঁর অনূর্ধ্ব-১৯ দল লিগ জেতে।
২০০৯ সালে ডেভিড বুথ সিনিয়র দলের দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ায়, কোচ করা হয় খালিদকে। সেই শুরু, তারপর থেকে সিনিয়র দলের দায়িত্ব নিয়েও ক্লাবকে বড় দলগুলোর কাছে শক্ত গাঁট হয়ে ওঠে মুম্বই এফসি। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সিনিয়র দলের কোচ হওয়া নিয়ে খালিদ বলেন, 'অনূর্ধ্ব-১৯ দল খুব ভালো করেছে, লিগ জিতেছে। ডেভিড বুথ সিনিয়র দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে (২০০৯ সালে) আমাকে সিনিয়র দলের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল।'
কোচ হিসেবে ফুটবলারদের প্রতি কী নির্দেশ থাকে?
খালিদ জামিলের খেলার ধরণ দেখলে অনেকেই খুশি হতে পারেন না। কারণ ছোট পাস বা তিকিতাকাতে তিনি বিশ্বাসী নন। কোচিং স্টাইল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খালিদ বলেন, 'ফুটবলারদের প্রতি আমার নির্দেশ হলো, ডিফেন্সিভ খেলো, ম্যান টু ম্যান থাকো। এছাড়া আমি স্বাধীনতা দিই, ম্যাচের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতেই নির্দেশ দিই।'
খালিদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ
দায়িত্ব নিয়েই বড় পরীক্ষার মুখে খালিদ জামিল। ২৯শে আগস্ট তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানে শুরু হওয়া CAFA নেশনস কাপের পর, ভারত ৯ এবং ১৪ই অক্টোবর তাদের AFC এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবে ভারত। এরপর সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে, ১৮ নভেম্বর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে। ভারত বর্তমানে গ্রুপ টেবিলের তলানিতে রয়েছে। শুধুমাত্র গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা ২০২৭ সালের এএফসি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। ফলে লড়াই বেশ কঠিন তাঁর সামনে।