আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে ইতিমধ্যেই অবসর গ্রহণ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। পরের বছর আইপিএল শুরু হতে এখনও অনেকটা সময় বাকি রয়েছে। ইতিমধ্যে শোনা যাচ্ছে, রাঁচি শহরে তিনি নাকি ঝাবুয়ার কড়কনাথ মুরগির ব্যবসা করবেন! এমনকী ঝাবুয়ার আদিবাসী কৃষকদের কাছে ধোনি নাকি দুই হাজার মুরগির বাচ্চার অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন বলেও খবর। (ঝাবুয়া থেকে চন্দ্রভানু সিংহের রিপোর্ট)
ক্যাপ্টেন কুল তথা ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা স্তম্ভ মহেন্দ্র সিং ধোনি নাকি খুব তাড়াতাড়ি নিজের শহর রাঁচিতে কড়কনাথ মুরগির ব্যবসা করবেন। মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া শহর থেকে এই মুরগির বাচ্চাগুলো নিয়ে আসা হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ধোনি ইতিমধ্যেই জৈব কৃষিকাজের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এবার তার সঙ্গেই যোগ হল কড়কনাথ মুরগির ফার্মিং।
এই কারণে রাঁচি ভেটেনারি কলেজের প্রফেসর তথা বন্ধুর সাহায্যে ঝাবুয়া শহরের আদিবাসী কৃষক বিনোদ মৈডাকে ইতিমধ্যেই ২ হাজার মুরগির বাচ্চার অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন। জানা গেছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই মুরগিগুলোকে ডেলিভারি করতে হবে।
এই অর্ডারটি পেয়ে ঝাবুয়ার আদিবাসী কৃষক বিনোদ তো যারপরনাই খুশি হয়েছেন। তাঁর আশা, এই মুরগির ডেলিভারি দিতে গিয়ে ধোনির সঙ্গে হয়ত বা তাঁর একবার হলেও দেখা হবে।
এই মর্মে ঝাবুয়ার কড়কনাথ মুরগি অনুসন্ধান কেন্দ্রের নির্দেশক ডক্টর আইএস তোমর জানালেন, ধোনি তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, সেইসময় আমাদের কেন্দ্রে অত মপরগির বাচ্চা ছিল না। আর সেকারণেই আমরা ঝাবুয়ার ভান্দলার আদিবাসী কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি যারা এই কড়কনাথ মুরগি প্রতিপালন করেন।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া এলাকার কড়কনাথ মুরগি যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই কড়কনাথ মুরগির উপরে জিআই ট্যাগও লাগানো হয়েছে। এই মুরগির গায়ের রং কালো হয়। রক্ত কালো, কালো রঙের হাড় এবং মাংসের রংও কালো। কিন্তু, স্বাদে একেবারে অতুলনীয়। এই মুরগি বিশেষত ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল ফ্রি হয়।