ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম মরশুমের তৃতীয় ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের ওপেনার নীতিশ রানা ধামাকাদার পারফরম্যান্স করলেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিনি ৫৬ বলে ৮০ রান করেন।
এই ইনিংসে নীতিশ রানা ৯টা চার এবং ৪টে ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার পর এক বিশেষ মেজাজেই তা উদযাপন করেন। তিনি আঙুল দিয়ে রিং তৈরি করে দেখান। দেখে মনে হচ্ছিল যে তিনি এই ইনিংসটি তাঁর স্ত্রী সাঁচি মারবাহকে সমর্পিত করেছেন।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নীতিশ এবং সাঁচি একে অপরকে বিয়ে করেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন নীতিশ। কিন্তু, তাঁর অর্ধাঙ্গিনী সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। সাঁচি পেশায় একজন ইন্টিরিয়র ডিজ়াইনার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট অ্যাকটিভ থাকতে ভালোবাসেন। আজকালকার বলিউড নায়িকার থেকে কোনও অংশে কম নন তিনি। (Photo- Instagram@nitishrana_official)
২০১৫ সালে সাঁচি প্রথম নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। তিনি আনসল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অফ সুশান্ত স্কুল অফ ডিজ়াইন থেকে পড়াশোনা করেন। বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত ইন্টিরিয়র ডিজ়াইনারের থেকে তিনি ট্রেনিংও নিয়েছেন। (Photo- Instagram@nitishrana_official)
নীতিশ এবং সাঁচি একে অপরকে যে কতটা ভালোবাসেন, সেটা এই ছবি দেখলেই স্পষ্ট বুঝতে পারা যায়। তাঁদের জুটি যথেষ্ট সুন্দর দেখতে লাগে। একটা ইন্টারভিউতে সাঁচি বলেছিলেন, যখন আমরা একে অপরের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেছিলাম, তখন আমাদের মধ্যে কোনও কিছুই মিল ছিল না। আমাদের জীবনশৈলী একেবারে আলাদা ছিল। আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আলাদা ছিল। যেমন ধরুন, আমি পার্টি করতে কিংবা ওখানে যেতে খুব ভালোবাসতাম, কিন্তু নীতিশ ওইসবে খুব লজ্জা পেত। ও এমন একটা ছেলে যে সবসময় ঘরে থাকতেই ভালোবাসত। তিনি জানিয়েছেন যে এখন পরিস্থিতিটা একেবারে বদলে গেছে। আজ আমি ঘরে থাকতে ভালোবাসি, আর নীতিশ পার্টি লাভার হয়ে গেছে। (Photo- Instagram@nitishrana_official)
একটা ইন্টারভিউতে এই দম্পতি আরও জানিয়েছেন যে মাঝেমধ্যেই তাঁদের দুজনের মধ্যো ছোটো ছোটো বিষয় নিয়ে ঝামেলা বেঁধে যায়। নীতিশ রানা বলেন, আমাদের ঘরে একটা ছোটো বালিশ রয়েছে। সেটা নিয়েও আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। শেষপর্যন্ত কে ওই বালিশটা নিয়ে শোবে, সেটাই ঠিক করা যায় না। (Photo- Instagram@nitishrana_official)
অন্য একটি ইন্টারভিউতে নীতিশ জানিয়ে ছিলেন যে বিয়ের আগে তাঁরা দুজনে সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত একে অপরকে ডেট করেন। সাঁচির ভাই পরমবীর এবং নীতিশের ভাই একসঙ্গে ফুটবল খেলতেন। ক্রিকেট থেকে একটু ব্রেক পেলেই নীতিশও ফুটবল খেলায় মেতে উঠতেন। সাঁচি ওখানে ঘুরতে আসতেন।
নীতিশ বললেন, "ওখানেই আমি প্রথমবার সাঁচিকে দেখি। পরে আমি জানতে পারি যে ওটা পরমবীরের বোন। প্রথমে আমি মেসেজ করতে শুরু করি। আমি শুরু থেকেই লাভ ম্যারেজ করতে চেয়েছিলাম। কম বয়সেই আমার বিয়ে করার শখ ছিল। আমি আমার কোচকে বলে দিয়েছিলাম যে ২৪-২৫ বছর বয়সের মধ্যেই আমি বিয়ে করে নেব।"(Photo- Instagram@nitishrana_official)