রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে আজ একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা ১৬৬ রান তোলে। আর সেই দৌলতেই কোহলি ব্রিগেড ৩৮ রানে জিতে যায়। এই নিয়ে পরপর তিনটে ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করল বিরাট কোহলির দল। সেইসঙ্গে তাঁরা আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেল।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ২০৪ রান তাড়া করার জন্য সবথেকে আগে দরকার ছিল একটা বড় পার্টনারশিপ। কলকাতার কোনও ব্যাটসম্যানই তার ধারেকাছে গেলেন না। নাইট ব্রিগেডের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল (২০ বলে ৩১ রান)। কিন্তু, ১৯তম ওভারে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখাতে গিয়ে তিনি হরভজন সিংকে ব্যাটই করতে দিলেন না। আর এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি মাত্র ১ রান নিয়ে গোটা ওভার শেষ করলেন। বল হাতেও তিনি আজ যারপরনাই ব্যর্থ হয়েছেন। মাত্র ২ ওভার বল করে দিয়েছেন ৩৮ রান। এরপর দলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আবশ্যিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দলের বাকি ব্যাটসম্যানদের কথা আর না বলাই ভালো। শুরুটা ভালো করলেও আজও ব্যর্থ হন শুভমান গিল। নীতিশ রানা (১১ বলে ১৮ রান) এবং রাহুল ত্রিপাঠী (২০ বলে ২৫ রান) দ্বিতীয় উইকেটে ৩৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুললেও, দলের বাকিরা সেটা আর কাজে লাগাতে পারেননি। সমালোচকদের মতে, দিনের পর দিন দলের বোঝা হয়ে উঠছেন দীনেশ কার্তিক। আজ তিনি ৫ বলে ২ রান করেন। সাকিব-আল হাসান (২৫ বলে ২৬ রান) এবং ইয়ন মরগ্যানের (২৩ বলে ২৯ রান) জন্য কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি যে টাকা ঢেলেছে, তার যোগ্য সম্মান এখনও তাঁরা দিতে পারেননি।
অন্যদিকে চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে যেন অকাল দিওয়ালি শুরু হয়ে গেছে। যেভাবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং এবি ডি'ভিলিয়ার্স ব্যাট করলেন, তাতে উৎসব তো হবেই। একের পর এক শটে যেন কলকাতাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন, আজকের দিনটা তাঁদের। আজ আলাদা করে ডি'ভিলিয়ার্সের কথা উল্লেখ করতেই হবে।
ম্যাক্সওয়েল যতই ৭৮ রান করুন না কেন, এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৪ বলে অপরাজিত ৭৬ রানের একটা ইনিংস দলকে উপহার দেন। শেষ পাঁচ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৭০ রান তুলেছে। আর সেই দৌলতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে তারা ২০৪ রান তুলেছে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের শুরুটা আজ খুব একটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই বিরাট কোহলি (৫) এবং রজত পতিদার (১) বরুণ চক্রবর্তীর বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এরপর তৃতীয় উইকেটে দেবদত্ত পাডিক্কলের (২৫) সঙ্গে ৮৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ডি'ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তিনি ২৭ বলে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। অবশেষে ম্যাক্সওয়েল ফিরে যাওয়ার পর ডি'ভিলিয়ার্স কাইল জেমিসনের সঙ্গে মাত্র ২০ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।