টোকিও অলিম্পিকে কিছুদিন আগেই নিজের কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বেলারুশের অ্যাথলিট Krystsina Tsimanouskaya। এরপরেই এই অ্যাথলিটকে বলতে শোনা যায়, তিনি বেলারুশে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ বেলারুশে ফিরলে তাঁর জেল হতে পারে বলেই আশঙ্কা ওই অ্যাথলিটের।
এবার আরও এক খেলোয়াড় নিজের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। হেপ্টাথালিট ইয়ানা ম্যাকসিমোভা ক্রোচেনকা (Yana Maksimova Krauchanka) বলেন, রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর আমলে তিনি যদি দেশে ফেরেন তাহলে শুধু নিজের স্বাধীনতা নয়, প্রাণও হারাতে পারেন তিনি। যদিও বর্তমানে ইয়ানা নিজের স্বামী তথা অলিম্পিকে রৌপ্যপদক বিজয়ী আন্দ্রে ক্রোচেনকা এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে জার্মানিতে থাকেন।
ইয়ানা ২০১২ সালে অলিম্পিকে অংশ নেন। তবে টোকিও অলিম্পিকে অবশ্য কোয়ালিফাই করতে পারেননি। যদিও আগামী প্যারিস অলিম্পিকের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ইয়ানা বলেন, দেশের ফেরার বিষয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করার পর ফেরত না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁ
তিনি আরও বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, বেলারুশে গেলে শুধু স্বাধীনতা নয়, প্রাণটাও হারাতে হতে পারে। তবে ইয়ানার আশা, এই সিদ্ধান্তের পরেও তাঁর কেরিয়ার এগিয়ে যাবে এবং তিনি ফের ট্রেনিং ও অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বেলারুশের স্প্রিন্টার Krystsina Tsimanouskaya জাপানের এয়ারপোর্ট পুলিশের কাছে আবেদন জানান, যেন তাঁকে দেশে ফেরত পাঠান না হয়। তিনি বলেন, ফেরত গেলে তাঁকে জেলে ভরা হবে। এই আবেদনের পর জাপান পুলিশ তাঁকে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয়।
তবে এখন অবশ্য Krystsina Tsimanouskaya জাপান থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তিনি পোল্যান্ডের ভিসা পেয়েছেন। ২৪ বছর বয়সী এই ক্রীড়াবিদের সরাসরি পোল্যান্ডের ভার্সোর ফ্লাইট ধরার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি ওই ফ্লাইটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবর্তে তিনি ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া হয়ে পোল্যান্ড পৌঁছাবেন।
প্রসঙ্গত Krystsina বেলারুশের সেই ২০০০ অ্যাথলিটের মধ্যে একজন যিনি খোলা চিঠির মধ্যে দিয়ে নয়া নির্বাচনের দাবি জানিয়ছেন। একইসঙ্গে রাজনৈতিক বন্দিদেরও মুক্তির দাবি জানান তিনি। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে নিজের দেশে স্বাগত জানিয়েছেন। পোল্যান্ড সরকার আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরোধী এবং তারা বেলারুশের অনেককে সমর্থনও দিচ্ছে।