লন্ডন অলিম্পিকের মশাল বহনকারী পিঙ্কি কর্মকার অবশেষে সোমবার সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পিঙ্কি অসমের ডিব্রুগড় জেলার একটি চা বাগানে দৈনিক মজুরির কাজ করতেন।
অসম সরকার অবশেষে ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে ভারতের মশাল বহনকারী পিঙ্কি কর্মকারকে একটি সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছে।
অসমের ডিব্রুগড় জেলার ২৬ বছর বয়সী একজন চা বাগানে দিনমজুর শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। অসমের শ্রম মন্ত্রী সঞ্জয় কিশান রবিবার ডিব্রুগড় জেলার বোরবোরুয়া চা বাগানে আয়োজিত একটি কর্মসূচির সময় পিঙ্কি কর্মকারকে একটি সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেন।
অসমের শ্রম মন্ত্রী বলেছেন যে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশনা অনুসরণ করে তিনি পিঙ্কি কর্মকারের কাছে অসম চা কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থার নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন।
পিঙ্কি, যিনি অসমের ডিব্রুগড়ের বাসিন্দা, ১৭ বছর বয়সে লন্ডনের নটিংহ্যামশায়ারে অলিম্পিক মশাল নিয়ে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২৬ বছর বয়সী পিঙ্কি কর্মকারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, তাকে বোরবোরুয়া চা বাগানে ১৬৭ টাকার দৈনিক মজুরি হিসেবে কাজ করতে হচ্ছিল। আজতাক/ইন্ডিয়া টুডে/আজতক বাংলায় পিংকির কষ্টের জীবন কাহিনী বহন করেছিল, খবর প্রকাশ হয়েছিল এই বিষয়ে যে কিভাবে সে গত নয় বছরে সরকারের কোনও সহযোগিতা ছাড়াই তার পরিবারের সাথে তার জীবন কাটাচ্ছিল।
Following the instructions of HCM Dr. @himantabiswa sir today i handed over the appointment letter of Assam Tea Employees Provident Fund Organization to Pinky Karmakar who represented India as the Olympic torchbearer at the London Olympics, 2012. 1/2 pic.twitter.com/vmU8uUEAtn
— Sanjoy Kishan (@sanjoykishan1) August 15, 2021
এর আগে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা পিঙ্কি কর্মকারের সাথে দেখা করেছিলেন এবং তাঁকে তাঁর সমস্ত প্রয়োজনে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
২০১২ সালে, পিঙ্কির বয়স ১৭ বছর ছিল এবং সে দশম শ্রেণীতে পড়ছিল। সেই সময় তিনি ইউনিসেফ স্পোর্টস ফর ডেভেলপমেন্ট (S4D) চালাতেন। এই কর্মসূচির আওতায়, পিঙ্কি প্রায় ৪০ জন মহিলাকে সামাজিক সমস্যা এবং ফিটনেস সম্পর্কে সচেতন করতেন। এরপর তিনি লন্ডন অলিম্পিক আয়োজক কমিটি কর্তৃক ভারতের মশাল বহনকারী নির্বাচিত হন। পরিবারে আর্থিক টান ছিল সেই কারণে তিনি কাজ করছিলেন দিন মজুরের। তবে এবার তাঁর জীবনের কষ্ট কিছুটা কমবে।