কাগিসো রাবাদা : চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের এই প্রোটিয়া বোলার ২৫টি উইকেট শিকার করেছেন। পার্পল ক্যাপের দৌড়ে তিনিই আপাতত এগিয়ে রয়েছেন। টুর্নামেন্টেরই একটি ম্যাচে তিনি একা চার উইকেট শিকার করেছেন।
জসপ্রীত বুমরাহ : মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের বোলিং ব্রিগেডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জসপ্রীত বুমরাহ। লিগের ১৩ ম্যাচে তিনি ২৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন। দলের ট্রেন্ট বোল্ট থাকায় মিডল এবং ডেথ ওভারে তিনি স্বাধীনভাবে বল করতে পেরেছেন।
জোফ্রা আর্চার : এই আইপিএলে যেসব পেস বোলাররা শাসন করেছেন, তাঁদের মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসের জোফ্রা আর্চার। ইংল্যান্ডের এই পেসার দলের হয়ে প্রত্যেকটা ম্যাচ খেলেছেন এবং ২০টি উইকেট শিকার করেছেন। গড় ১৮.২৫, ইকোনমি রেট ৬.৫৫।
যুজবেন্দ্র চহ্বাল : সেরা উইকেট প্রাপকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চহ্বাল। আর্চারের মতো তিনিও ২০টি উইকেট শিকার করেছেন। তবে তাঁর গড় একটু কম রয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের এই স্পিনারের স্ট্রাইক রেট ১৫.৯। সেরা বোলিং পারফরম্যান্স সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ১৮ রানে তিন উইকেট।
ট্রেন্ট বোল্ট : লিগের ম্যাচগুলোর মধ্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট একটা মাত্র ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু তাঁর ঝুলিতেও ২০টি উইকেট রয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে বোল্ট ১৮ রানে চারটে উইকেট নিয়েছিলেন। এটাই তাঁর সেরা পারফরম্যান্স। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৫.৪, গড় ২০.৯০। বুমরার সঙ্গেই তাঁকে লিগের শেষ ম্যাচে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তিনি খেলানো হয়নি।
মহম্মদ শামি : এই তালিকায় দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে রয়েছে মহম্মদ শামির। ৩০ বছর বয়সি এই বোলারের ঝুলিতে ২০টি উইকেট রয়েছে। গড় ২৩.০০ এবং স্ট্রাইক রেট ১৬.১। তবে বর্তমানে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এই টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে গেছে।
রশিদ খান : আইপিএল ২০২০'তে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদে স্পিনাররা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। তিনি এখনও পর্যন্ত ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৭.৬। যুজবেন্দ্র চহ্বালের পর তিনিই দ্বিতীয় স্পিনার যিনি এই দলে সুযোগ পেয়েছেন। রশিদের ইকোনমি রেট ৫.২৮, বোলিং গড় ১৫.৫৭।
অ্যানরিচ নর্ৎজ়ে : চলতি আইপিএল মরশুমে দ্রুততম বোলার হলেন দিল্লি ক্যাপিটালস দলের অ্যানরিচ নর্ৎজ়ে। লিগ পর্যায়ের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের হয়ে নর্ৎজ়ে ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন এবং শিকার করেছেন ১৯টি উইকেট। ইকোনমি রেট ৭.৯৬ এবং বোলিং গড় ২১.১০।
বরুণ চক্রবর্তী : মিস্ট্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বেশ কয়েকটি ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছেন। এই টুর্নামেন্টে তিনি ১৩টি লিগ পর্যায়ের ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৭টি উইকেট শিকার করেছেন। একবার তো তিনি একটি ম্যাচে পাঁচ উইকেটও শিকার করেন। এমন পারফরম্যান্সের কারণেই কর্নাটকের এই বোলারকে আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরের টি-২০ দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
রাহুল চহ্বার : মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল থেকে রাহুল তিন নম্বর বোলার যিনি এই তালিকায় সুযোগ পেয়েছেন। আইপিএল ২০২০ মরশুমে তিনি কার্যত সকলের আড়ালে থেকেই উইকেট শিকার করে গেছেন। ১৩ ম্যাচে তিনি ১৫টি উইকেট শিকার করেছেন। ইকোনমি রেট ৭.৮০। বলতে গেলে তিনি একাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের স্পিন ডিপার্টমেন্টটা সামলান।