তাঁর হাত ধরেই ভারতের দুটো ক্রিকেট বিশ্বকাপ এসেছে। তিনি ভারতের অবিসংবাদিত ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। আজ ৩৯ বছরে পা রাখলেন।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুবির এন্ট্রিটা বেশ ধামাকাদার ছিল। ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তিনি টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। এরপর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সিনিয়র ক্রিকেট দলে চলে আসেন। ওই একই বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিনি ৮৪ রানের একটি জয়সূচক ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেট দলকে উপহার দেন। এরপর গোটা ক্রিকেট বিশ্ব তাঁকে চিনতে শুরু করে।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
সাফল্যের পাশাপাশি যুবরাজের কেরিয়ারে বেশ কিছু হতাশাও রয়েছে। তবে তিনি নিজের দক্ষতায় সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তিনি সমান স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন। তিনি ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ এবং ২০১১ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিলেন।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ :
এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সহ অধিনায়ক ছিলেন যুবরাজ সিং। দলকে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ডারবানে আয়োজিত ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জীবন-মরণ ম্যাচে তিনি স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ বলে ছ'টা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। আর সেই সুবাদেই টি-২০ ক্রিকেটে সবথেকে দ্রুত (মাত্র ১২ বলে) হাফসেঞ্চুরি করার রেকর্ড তাঁর দখলেই রয়েছে।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
এরপর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তিনি অজ়ি বোলারদেরও তুলোধনা করেন। মাত্র ৩০ বলে ৭০ রানের একটা দুর্ধর্ষ ইনিংস দলকে উপহার দেন। তাঁর এই ইনিংসে পাঁচটি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি ছিল। ভারত ১৮৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা খাড়া করেছিল। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া এবং টুর্নামেন্ট থেকে বেরিয়ে যায়।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ :
কাট টু ২০১১। গোটা দেশের স্বপ্নপূরণের অংশীদার হলেন যুবরাজ সিং। ২৮ বছর পর আবারও ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতল ভারতীয় ক্রিকেট দল।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
এই টুর্নামেন্টে ন'ম্যাচে যুবরাজ ৩৬২ রান করেছিলেন। ব্যাটিং গড় ৯০.৫০। এরমধ্যে একটা শতরান এবং পাঁচটা হাফসেঞ্চুরি রেঠে এছাড়াও তিনি ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। এরমধ্যে মুম্বইয়ে আয়োজিত ফাইনাল ম্যাচে জোড়া উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)
২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পরেই যুবরাজের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটা প্রকাশ্যে আসে। বিদেশে ট্রিটমেন্ট করাতে যায়। সকলেই ভেবেছিলেন, তিনি হয়ত আর ক্রিকেট মাঠে ফিরতে পারবেন না। কিন্তু, অনুশীলনের জন্য তিনি ফ্রান্সে যান। এরপর আবারও টি-২০ বিশ্বকাপে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩৫ বলে ৭৭ রান করেন।
(ছবি - গেটি ইমেজেস)