২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল : সেদিন যদি মোঙ্গিয়ার আবেদনে সাড়া দিতেন বাকনার!

ড্যামিয়েন মার্টিন এবং রিকি পন্টিং রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব ততক্ষণে শুরু করে দিয়েছে। দু'জন ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উইকেটের দুই প্রান্ত থেকে দুজন বাঁহাতি স্পিনার লাগিয়েছেন। যুবরাজ সিং এবং মোঙ্গিয়া রানরেটটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন। সেইসঙ্গে যদি একটা উইকেট হাতে আসে, সেই খোঁজও চালাচ্ছেন।

Advertisement
২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল : সেদিন যদি মোঙ্গিয়ার আবেদনে সাড়া দিতেন বাকনার!বিধ্বংসী মেজাজে রিকি পন্টিং (ছবি - গেটি ইমেজেস)
হাইলাইটস
  • ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয় করেছিল অস্ট্রেলিয়া
  • এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল ভারত
  • ৩৮ ওভারে দীনেশ মোঙ্গিয়ার বলে আউট হতে হতে বেঁচে যান রিকি পন্টিং

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন দীনেশ মোঙ্গিয়া। তবে মোঙ্গিয়ার কেরিয়ারের সবথেকে সফলতম বছর হল ২০০৩ সাল। এই বছরেই তিনি বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই বিশ্বকাপে রানার্স আপ হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে যদিও মোঙ্গিয়া ফাইনাল ম্যাচে খুব একটা বেশি সাফল্য পাননি, তবে তিনি একটা বড় উইকেট প্রায় শিকার করেই ফেলেছিলেন। অজ়ি অধিনায়ক রিকি পন্টিং এই ম্যাচে ১৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। তাঁর উইকেটটাই অল্পের জন্য হাতছাড়া হয় মোঙ্গিয়ার। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে ৩৫৯ রান তুলেছিল। শেষপর্যন্ত আর এই রান তাড়া করে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল।

ড্যামিয়েন মার্টিন এবং রিকি পন্টিং রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব ততক্ষণে শুরু করে দিয়েছে। দু'জন ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উইকেটের দুই প্রান্ত থেকে দুজন বাঁহাতি স্পিনার লাগিয়েছেন। যুবরাজ সিং এবং মোঙ্গিয়া রানরেটটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন। সেইসঙ্গে যদি একটা উইকেট হাতে আসে, সেই খোঁজও চালাচ্ছেন। অজ়ি ইনিংসের ৩৮তম ওভারে মোঙ্গিয়ার হাতে প্রায় সাফল্য চলেই এসেছিল। কিন্তু, আম্পায়ার স্টিভ বাকনার সেই আউট দিতে রাজি হলেন না।

ম্যাচ শুরুর আগে টস করছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (ছবি - গেটি ইমেজেস)

রাউন্ড দ্য উইকেট বল করতে এসে মোঙ্গিয়া আর্ম বল করলেন। পন্টিং সুইপ শট মেরেওছিলেন। কিন্তু, বলটা মিস করে যান। বল এসে সোজা পন্টিংয়ের প্যাডে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে গোটা ভারতীয় ক্রিকেট দল lbw আউটের আবেদনে গর্জন করে ওঠেন। কিন্তু, সেদিন আম্পায়ার স্টিভ বাকনার আউটটা দেননি। সিদ্ধান্তটা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই গিয়েছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

৫৭ রানে গিলক্রিস্ট ফিরে যাওয়ার পর পন্টিংয়ের সঙ্গে ব্যাট করছেন ম্যাথিউ হেডেন (ছবি - গেটি ইমেজেস)

সেইসময় পন্টিং ৬৮ বলে ৪৬ রানে ব্যাট করছিলেন। আর ৩৭ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে ২২৩ রান করেছিল। দীনেশ মোঙ্গিয়া সাত ওভারে ৩৯ রান দেন। ওইসময় পন্টিং আউট হয়ে গেলে এবং অস্ট্রেলিয়া আর ২০-৩০ রান কম করলে ম্যাচের ফলাফল অন্যদিকে ঘুরতেই পারত।

Advertisement

গিলক্রিস্টকে আউট করার পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের উচ্ছ্বাস (ছবি - গেটি ইমেজেস)

জোহানেসবার্গে আয়োজিত বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের ডেথ ওভারে রিকি পন্টিং ভারতীয় বোলারদের উপরে তাণ্ডব নৃত্য শুরু করেন। তিনি শেষপর্যন্ত ১২১ বলে ১৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই গোটা ইনিংসে তিনি মোট চারটে বাউন্ডারি এবং আটটা ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন।

রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ জয় করেছিল অস্ট্রেলিয়া (ছবি - গেটি ইমেজেস)

সেইসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে DRS নিয়ম অবশ্য চালু হয়নি। এত বিশাল রানের একটা পাহাড়প্রমাণ চাপ ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যানরা আর নিতে পারেননি। ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সৌরভ ব্রিগেড। এই ম্যাচে ১২৫ রানে হারতে হয়েছিল ভারতকে।

POST A COMMENT
Advertisement