গোটা টুর্নামেন্টে ভাল খেললেও শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) ফাইনালে একেবারেই খেলতে পারেনি। আগুন ঝড়ানো পেসে মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। পাঁচ ব্যাটার আউট হন ০ রানে।
দারুণ ফর্মে মহম্মদ সিরাজ। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করতে থাকেন ভারতের দুই ফাস্ট বোলার জসপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজ। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই বুমরা প্রথম আঘাত হানেন। ০ রানেই আউট হন কুশল পেরেরা। উইকেটের পেছনে থাকা কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তখনও বোঝা যায়নি সিরাজ কী করতে চলেছেন। চাপে পড়ে যেতেই একের পর ভুল শট খেলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। এর জেরেই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। সিরাজ একাই এক ওভারে চার উইকেট নেন। পরের ওভারে বল করতে এসে আবার উইকেট তুলে নেন তিনি।
তৃতীয় ওভারেই শেষ শ্রীলঙ্কার সমস্ত প্রতিরোধ
তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই পথুম নিশাঙ্কা আউট হন। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল শট খেলতে যান নিশাঙ্কা। উঠে যাওয়া বল ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা। ৪ বলে ২ রান করেই আউট হন নিশাঙ্কা। দ্বিতীয় বল ডট হলেও তৃতীয় বলে ফের উইকেট তুলে নেন সিরাজ। ভেতরের দিকে ঢুকে আসা বল সোজা সমরবিক্রমার পায়ে লাগে। আপিল করেন সিরাজ। আঙুল উচিয়ে আউটের নির্দেশ দিতে বেশি সময় নেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি। ০ রানেই ফেরেন লঙ্কান ব্যাটার।
পরের বলেই আসালাঙ্কাকে ফেরান সিরাজ। ফুল বলে শট খেলতে চেষ্টা করেন শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন। পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ক্যাচ নিতে ভুল করেননি ইশান কিশান। পঞ্চম বলে চার মেরে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা।
কিন্তু ওভারের শেষ বলে সিরাজ আউট করেন ডি সিলভাকে। কেএল রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। শেষদিকে আরও ৩ উইকেট তুলে নেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। ২ ওভার ২ বল করে ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন ভারতের ভাইস ক্যাপ্টেন।
ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), ইশান কিশান, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, জাসপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কা (প্লেয়িং ইলেভেন): পথুম নিসাঙ্কা, কুসল পেরেরা, কুসল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, দাশুন শানাকা (সি), দুনিথ ভেলালাগে, দুশান হেমন্ত, প্রমোদ মাদুশান, মাথিশা পাথিরানা।