scorecardresearch
 

Cricket : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঘটে যাওয়া পাঁচটি সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনা

ভারত-পাকিস্তান মানেই উত্তেজনা। তা যদি হয় ক্রিকেটে তাহলে তো কথাই নেই। দুদলের খেলোয়াড়রা বারবার জড়িয়েছেন বিবাদে। আরও একটা ম্যাচে মুখোমুখি দুই দল। তার আগে দেখে নিই দু'দলের মধ্যে ঘটে যাওয়া সেরা পাঁচটি কুখ্যাত ঘটনা।

Advertisement
কাছাকাছি কিন্তু ব্যবধান অনেক কাছাকাছি কিন্তু ব্যবধান অনেক
হাইলাইটস
  • ভারত-পাকিস্তান বরাবরই উত্তেজনা
  • একের পর এক ঘটনায় জড়িয়েছে দু'দল
  • ফের ২৪ অক্টোবর মুখোমুখি দুটি দল

টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপে ভারতের অভিযান শুরু হচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে। শুরুতেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান হওয়ায় গোটা দেশবাসীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে বাড়ছে। ২৪ অক্টোবর এই মোকাবিলার অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্বের সমস্ত দেশ। ভারত এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতদের  পাশাপাশি অন্যান্য দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও সাক্ষী থাকতে চায় দ্বৈরথের।

বিতর্কে খেলোয়াড় ও আম্পায়ররা

এমনিতেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন হয় না। পাকিস্তান চাইলেও ভারত খেলে না। আন্তর্জাতিক আসরেই শুধু মুখোমুখি হয় ভারত ও পাকিস্তান। ফলে কালেভদ্রে এই ম্যাচ নিয়ে চূড়ান্ত উত্তেজনা থাকে সবসময়। দুই দলের মুখোমুখি হয় এর আগেও যখনই ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছে, উত্তেজনা চরমে উঠেছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু এমন কিছু মোকাবিলায় তারা মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের ধৈর্য সংযম হারিয়েছেন। আবার কিছু ঘটনা এমন হয়েছে আম্পায়ারদের ভূমিকাও সন্দেহের কাতারে রয়েছে।


বিষেণ সিং বেদি ও পাকিস্তানি আম্পায়ার

৩ নভেম্বর ১০৭১ সালে পাকিস্তানের শাহিওয়ালে জাফর আলি স্টেডিয়ামে ভারত-পাক ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় এবং নির্ণায়ক ম্যাচের খেলা হচ্ছিল। পাকিস্তান আগে ব্যাট করে ৪০ ওভারে ২০৫ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে ২  উইকেটে ১৮৩ রান করে ভাল জায়গায় ছিল ভারত। সেই সময় পাকিস্তানের অধিনায়ক মুস্তাক মোহম্মদ ৩৮ তম ওভারে সরফরাজ নওয়াজকে বল হাতে তুলে দেন। ওই ওভারে
নওয়াজ অংশুমান গায়কোয়াড়কে লাগাতার চারটি বাউন্সার দেন মাথার উপর দিয়ে। যার নাগাল পাননি তিনি। কিন্তু আম্পায়ার একটিও নো বা ওয়াইড দেননি। ম্যাচ জেতার জন্য পাকিস্তানি চালকে বুঝতে পেরে ব্যাটসম্যানদের ড্রেসিং রুমে ডেকে নেন বেদি এবং ম্যাচ পাকিস্তানকে উপহার দেন। এরপরই দু'দলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এটা প্রথম ঘটনা, যেখানে কোনও ক্যাপ্টেন বেইমানি করে ম্যাচ জেতার চেষ্টার বিরোধিতা করে ম্যাচ তুলে দিয়ে এসেছেন।

Advertisement

আলো ছাড়াই খেলিয়ে ভারতকে হারিয়ে দেওয়া হয়

পর্যাপ্ত আলো না থাকা সত্ত্বেও খেলা চলতে থাকবে। ১৯৯১ সালে ভারত-পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে উইলস কাপের আয়োজন হয়েছিল এবং শেষ ম্যাচে পাকিস্তান প্রথম ব্যাটিং করে ৫০ ওভারে ২৫৭ রান তোলে। লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করে ভারত ভালো শুরু করে। কিন্তু মিডল অর্ডারে ভারতীয় ইনিংস বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। পরে শচীন তেন্ডুলকার ও মনোজ প্রভাকর ভারতের হাল ধরেন।  কিন্তু আলো এত খারাপ হয়ে আসে যে ব্যাটসম্যানরা বল দেখতে পাচ্ছিলেন না। এই সময় শারজায় ফ্লাড লাইড ছিল না। খারাপ আলো সত্ত্বেও জোর করে খেলা চালিয়ে যান আম্পায়ার। ভারত শেষে চার রানে ম্যাচ হেরে যায়।

মি

মিয়াঁদাদ ও কিরণ মোরে

১৯৯২ বিশ্বকাপে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সিডনিতে খেলা লড়াইয়ে জাভেদ মিয়াঁদাদের কীর্তি আজ পর্যন্ত চর্চায় রয়েছে। ওই লড়াইয়ে ভারত প্রথম ব্য়াট করে পাকিস্তানকে ২১৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল। জবাবে পাকিস্তান একসময় ৮৫ রানে কোনও উইকেট না হারিয়ে ব্যাট করছিল। এই সময় শচীন টেন্ডুলকারের এক বলে উইকেট কিপার কিরণ মোরে লম্বা ক্যাচের আপিল করে। তাতে খেপে যান মিয়াঁদাদ। এরপরের বলে রান নেওয়ার চেষ্টা করলে ফের স্টাম্প ভেঙে দেন কিরণ মোরে। তাতেই ব্য়াঙের মতো কুখ্যাত লাফ দিয়ে খেলাকে কলুষিত করেন মিয়াঁদাদ। এরপরই ফোকাস হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ভারত এই লড়াইয ৪৩ রানে জিতে নেয়।

ভেঙ্কটেশ প্রসাদ ও আমির সোহেল

ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে গালিগালাজ করে পরের বলেই আউট হয়ে যান আমির সোহেল। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাঙ্গালুরুতে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়। হাইভোল্টেজ ম্যাচে ২৮০ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় ভারত। ওয়াকার ইউনিসকে বেধড়ক মারেন অজয় জাদেজা। এরপর ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ভালো শুরু করে। আমির সোহেল ভালো ব্যাট করছিলেন। ১৫ তম ওভারে ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে চার মেরে ব্য়াট দেখিয়ে গালিগালাজ করেন সোহেল। প্রসাদকে ওই এলাকায় ফিল্ডার রাখতে বলেন। নইলে আবার ৪ মারবেন বলে হুমকি দেন। কোনও উত্তর না দিয়ে পরের বলেই তাঁর স্টাম্প নড়িয়ে দেন প্রসাদ। এরপরই প্রসাদ উত্তেজিত হয়ে সোহেলকে একই ভঙ্গিতা প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। পাকিস্তানও ম্য়াচ হেরে যায়।

গম্ভীর এবং আফ্রিদি

২০১৭ সালে কানপুরে ওয়ানডে ম্যাচে গৌতম গম্ভীর এবং শাহিদ আফ্রিদির নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। গম্ভীর আফ্রিদির একটি বলে চার মারার পর পরের বলে সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য দৌড়ে পড়েন। যখন রান নিতে দৌড়চ্ছিলেন, তখনই দুজনের মধ্যে টক্কর শুরু হয়। গম্ভীরকে আটকানোর চেষ্টা করেন বলে গম্ভীর অভিযোগ করেন আফ্রিদির বিরুদ্ধে। আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড কোনওভাবে মামলা শান্ত করেন। পরে ম্যাচ রেফারির মহানামা আফ্রিদির ম্যাচ ফি'র ৯৫ শতাংশ এবং গম্ভীরের ৬৫ শতাংশ জরিমানা করেন।

 

Advertisement