ইংল্যান্ডের কাছে হারের পর SG বল নিয়ে শুরু বিতর্ক, জেনে নিন ডিউক-কোকাবুরার থেকে পার্থক্যটা কোথায়?

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচে হেরে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। গত সপ্তাহে আয়োজিত চেন্নাই টেস্টে এমন ফলাফল কেউ প্রত্যাশা করেনি। তাও আবার একটু-আধটু রানে পরাজয় নয়। ২২৭ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে ভারত।

Advertisement
SG এবং ডিউক-কোকাবুরা বলের মধ্যে পার্থক্যটা জানেন?কোকাবুরা বল (গেটি ইমেজেস)
হাইলাইটস
  • টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে চার বছর পর হারতে হল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে
  • ২২৭ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে ভারত
  • এরপর বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন SG বলের গুণাগুণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন

আবার একটু-আধটু রানে পরাজয় নয়। ২২৭ রানের লজ্জাজনক পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল ইতিমধ্যেই ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে। সেকারণে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাস্তাও বেশ কঠিন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে এই পরাজয়ের পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হাহাকার দুটোই দেখতে পাওয়া গেছে। যে বল নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, সেই বলেই ইংরেজ বোলাররা একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছেন।

বিরাট অসন্তুষ্ট হওয়ার পর তিনটে পরিবর্তন করেছে SG

বিরাট কোহলি, ছবি - পিটিআই

টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে চার বছর পর হারতে হল ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। এরপর বিরাট কোহলি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন SG বলের গুণাগুণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। ম্যাচ চলাকালীন বলের অবস্থা অতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে ভারতীয় বোলাররা তা পরিবর্তন করার অনুরোধও করেন। কিন্তু, ফিল্ড আম্পায়ার নীতিন মেনন এবং অনিল চৌধুরি সেই আবেদন নাকচ করে দেন। দু'বছর আগেই দেশীয় সংস্থা এসজি'র বল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরাট। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে ডিউক বল ব্যবহার করার প্রস্তাব দেন। বিরাটের এই অভিযোগের পর এরপর SG বলে মোট তিনটে পরিবর্তন করা হয়েছে।

  • বলের ভেরিয়েশন অনেকটা কমানো হয়েছে।
  • বলের মধ্যে কর্কের কাঠিন্য কম করা হয়েছে। 
  • রঙটা আরও গাঢ় করে দেওয়া হয়েছে। আগের থেকে নতুন বল আরও বেশি গাঢ়  লাল দেখায়।

SC বল

১৯৯৩ সাল থেকে ভারতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের জন্য এসজি সংস্থা বল প্রস্তুত করে। ১৯৩১ সালে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত শিয়ালকোটে এই সংস্থার আত্মপ্রকাশ ঘটে। দেশভাগের পর পরিবার ভারতে চলে আসে এবং মেরঠে নতুন করে সংস্থাটি খোলা হয়। ক্রিকেট বিশ্বে একমাত্র ভারতই এই ধরনের বল ব্যবহার করে। অন্য বল গুলোর থেকে এই বলের সেই অনেক ভালো হয়, কিন্তু ভারতীয় উইকেটে এই বলে মাত্র ১০ থেকে ২০ ওভার পর্যন্তই সুইং হয়। তারপর এই বলের ঔজ্জ্বল্য হারাতে থাকে। ৮০-৯০ ওভার পর্যন্ত এই বলে সিম থাকে, এরফলে সহজে সুইংও করানো যায়। এবং স্পিনাররাও বল গ্রিপ করতে পারে।

Advertisement

ডিউক বল

ডিউক বল, গেটি ইমেজেস

এই বল ইংল্যান্ডে তৈরি হয়। এটাও হাত দিয়েই তৈরি করা হয়। ইংল্যান্ড ছাড়া এই বল ব্যবহার করে আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু হওয়ার আগে থেকেই ডিউক সংস্থা বল তৈরি করতে শুরু করেছে। এই বলের সিমটা অসাধারণ হয়। ৫০-৫৫ ওভার পর্যন্ত থাকে। ফাস্ট বোলারদের এই বল সবথেকে বেশি সাহায্য় করে। ২০ থেকে ৩০ ওভারের পর এই বলে রিভার্স সুইংও পাওয়া যায়। এই সংস্থার বর্তমান মালিক একজন ভারতীয়, নাম দিলীপ জাজোদিয়া।

কোকাবুরা বল

কোকাবুরা বল

এই বলের সেলাই মেশিনের মাধ্যমে হয়। অস্ট্রেলিয়ায় এই বল তৈরি হয় এবং অস্ট্রেলিয়া ছাড়া এই বলের ব্যবহার দক্ষইণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, নিউজ়িল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবোয়েতে হয়। কোকাবুরায় লো সিং হয় এবং প্রথম ২০ ওভারে যথেষ্ট ভালো সুইং পাওয়া যায়। কিন্তু, তারপর এই বল ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করে। এই বলের সেলাই যখন উপড়ে যায় তখন স্পিনারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয়। একদিনের ক্রিকেট এবং টি-২০ ক্রিকেটে ব্যবহারকৃত সাদা বল সবার আগে এই কোকাবুরা সংস্থাই বানিয়েছিল।

POST A COMMENT
Advertisement