ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আমছে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট। ফাইনালে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানও যদি ফাইনালে উঠে যায় তা হলে, আবারও ডার্বি হবে। এই রোমাঞ্চর ম্যাচের আশায় কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা।
কীভাবে দেখবেন মোহনবাগান vs এফসি গোয়া ম্যাচ?
অনেকেই হয়তো জানেন না, ডুরান্ডের ম্যাচ কোথায়, কী ভাবে দেখানো হচ্ছে। বাড়িতে বসে কী ভাবে দেখবেন, ভাবছেন তো? কোন চ্যানেলে, কখন, কী ভাবে এই দেখতে পাবেন, ক’টার সময় ম্যাচ শুরু, অনলাইনেই বা কী ভাবে দেখবেন, যাবতীয় তথ্য জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে এই ম্যাচ। জিও ব্যবহারকারীরা ফ্রিতেই এই ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পাবেন। এবার ডুরান্ড কাপের সম্প্রচার স্বত্ত্ব পেয়েছে সোনি। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচ থেকে শুরু করে সবকটি ম্যাচ সম্প্রচার করা হবে সোনি নেটওয়ার্কে। সোনি স্পোর্টস টেন টু চ্যানেলে দেখা যাবে ডার্বি ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার।
মোহনবাগান দলে নেই হ্যামিল
গোয়ার বিরুদ্ধেও দলে থাকছেন না ব্রেন্ডন হ্যামিল। গোয়া দলে রয়েছেন গত বছর সবুজ-মেরুনে খেলা কার্ল ম্যাকহিউ। গত ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারিয়ে চাঙ্গা সবুজ মেরুন শিবির। দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দো অবশ্য বলে দিয়েছেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু আত্মতুষ্ট নই। গোয়াকে সমীহ করছে মোহনবাগান। ফেরান্দো বলেন, ‘আমি গোয়ার খেলা দেখেছি। ওদের দলে ম্যাকহিউ (যিনি গতবার সবুজ মেরুন শিবিরে ছিলেন), বরিস, উদান্তা, সন্দেশ, নোয়া রয়েছে। ওদের অস্ত্র হল দৌড়। আমরা চেষ্টা করব নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করে দিতে। তবে টাইব্রেকারে খেলা গেলে সেই ভাবনাও ভেবে রেখেছি।’
সেমিফাইনালের আগে বেশ উত্তেজিত মোহনবাগানের অস্ট্রেলিয়ান বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স। খেলার আগেরদিন মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘আমরাই ভারতের সেরা দল। যে কোনও দলকে আমরা হারানোর ক্ষমতা রাখি। জাতীয় দলের সাত-আটজন সেরা ফুটবলার রয়েছে আমাদের দলে। বিদেশি ফুটবলাররাও নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। মুম্বইকে হারিয়ে আমরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী। গোয়াকেও আমরা হারিয়ে ফাইনালে যাব।’
কাতার বিশ্বকাপে খেলা তারকা আরও বলেছেন, ‘ডুরান্ড কাপের ফাইনালে যাওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আমাদের যাবতীয় লক্ষ্য সেদিকেই। আইএসএল বা এএফসি কাপের আগে প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে একটা ট্রফি যদি ঘরে আসে, তাহলে দলের মনোবলও বাড়বে।’
সবুজ মেরুন দলের আক্রমণভাগে সেরা তারকা শেষে বলেন, ‘দলের সমর্থকরা যেভাবে আমার উপরে আস্থা রাখছেন, অনুশীলনে উদীপ্ত করছেন, তাতে গোল করে ওঁদের আনন্দ দেওয়াই লক্ষ্য। ভারতের সেরা ক্লাবে খেলতে এসেছি। দলের নতুন তারকা হতে চাই।’