East Bengal vs Mohun Bagan: 'এবার সিনিয়র টিমের জার্সি গায়ে মোহনবাগানকে হারাতে চাই', বলছেন অধিনায়ক অর্পণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, ডার্বি জয় লাল হলুদের। অবশেষে বড় ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। হোক না যুব দলের ম্যাচ, ডার্বির গুরুত্ব তো সেই একই। ক্যাপ্টেন অর্পণ (Arpan Polley) বলছেন, বহুদিন ধরে সমর্থকরা ডার্বি জয় ভুলেই গেছিল। কিন্তু আবার আমরা সেই বড় ম্যাচে জয় ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। 

Advertisement
'এবার সিনিয়র টিমের জার্সি গায়ে মোহনবাগানকে হারাতে চাই', বলছেন অধিনায়ক অর্পণইস্টবেঙ্গলের অর্পণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, ডার্বি জয় লাল হলুদের। অবশেষে বড় ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। হোক না যুব দলের ম্যাচ, ডার্বির গুরুত্ব তো সেই একই। ক্যাপ্টেন অর্পণ (Arpan Polley) বলছেন, বহুদিন ধরে সমর্থকরা ডার্বি জয় ভুলেই গেছিল। কিন্তু আবার আমরা সেই বড় ম্যাচে জয় ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। 

দীর্ঘ সময় পর, ফের হাসি ফুটল লাল হলুদ সমর্থকদের মুখে। যে ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচ জয়ের জন্য তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন এতদিন, সেই বড় ম্যাচেই শেষপর্যন্ত জয় হাসিল করল লাল হলুদ ব্রিগেড। প্রসঙ্গত, ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) শেষ ডার্বি জেতে ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। সেই ম্যাচের ফলাফলও ছিল ২-০। কিন্তু সেই শেষ, তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত আর একটিও বড় ম্যাচ জিততে পারেনি তাঁরা। সবথেকে বড় বিষয় হল যে, ডার্বি ম্যাচ বরাবর কলকাতা ফুটবলে একটি আলাদা মাত্রা যোগ করে। বড় ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের আবেগ, উত্তেজনা এবং উচ্ছ্বাস রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। 

কিন্তু শেষপর্যন্ত ডার্বি জয়ের খরা কাটল লাল হলুদের। রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগের (RFDL) বড় ম্যাচে, সবুজ মেরুনকে ২-০ গোলে হারাল লাল হলুদ। দুটি গোলই করেন মিডফিল্ডার কুশ ছেত্রী (Kush Chhetry)। আর এই ম্যাচেই, ক্যাপ্টেন আর্ম ব্যান্ড ছিল অর্পণ পোলের হাতে। অধিনায়ক হিসেবে ইস্টবেঙ্গলকে ইতিমধ্যেই নেতৃত্ব দিয়েছেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে। আর এবার তাঁর অধিনায়কত্বেই ডার্বি জয় লাল হলুদের। 

আরও পড়ুন: অবশেষে ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের, মোহনবাগানকে হারাল ২-০ গোলে

ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক (East Bengal Captain) অর্পণ পোলে bangla.aajtak.in-কে জানান, ‘অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। কারণ, এতদিন পর ডার্বি জিততে পেরেছি। আমাদের এই জয় প্রাপ্য ছিল। গোটা ম্যাচে আমরা যে ফুটবলটা খেলেছি, তাই এই জয়টা আমরা ডিসার্ভ করি। আমরা সবাই মিলে এফোর্ট দিয়েছি, লড়াই করেছি এবং জয় পেয়েছি। ভালো লাগছে, ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। কারণ, বহুদিন ধরে সমর্থকরা ডার্বি জয় প্রায় ভুলেই গেছিল। কিন্তু আবার আমরা সেই বড় ম্যাচে জয় ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। যতই তরুণদের ডার্বি হোক না কেন, ডার্বি তো ডার্বিই। তাই ভালো লাগছে, আর অধিনায়ক হিসেবে তো আরও বেশি ভালো লাগছে।‘ 

Advertisement

আরও পড়ুন: 'আমাদের পাশে থাকুন...' ইস্টবেঙ্গলকে ডার্বি জয়ের স্বাদ দিয়ে অকপট কুশ

গোটা দলের মধ্যে যথেষ্ট ইউনিটি রয়েছে। ক্যাপ্টেন অর্পণ আরও জানান, ‘ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুব ভালো। দলের মধ্যে খুব ভালো ইউনিটি এবং বন্ডিং রয়েছে। সেইসঙ্গে, আমাদের সকলের মধ্যে জয়ের খিদে রয়েছে। দলের বাঙালি ফুটবলাররা ছাড়াও, অন্যান্য রাজ্যের খেলোয়াড়রাও ডার্বির মাহাত্ম্য এবং মর্মটা বুঝতে পেরেছিল। তাঁরা এটা বুঝতে পেরেছিল যে, আমাদের ক্লাব অনেকদিন ডার্বিটা জেতেনি। তাই তাঁদের মধ্যেও একটা বাড়তি তাগিদ কাজ করছিল। তারই ফলস্বরূপ, তাঁরা মাঠে নিজেদের প্রমাণ করতে পেরেছে। আমি অধিনায়ক হিসেবেও সবসময় তাঁদের ডার্বির গুরুত্বটা বোঝানোর চেষ্টা করতাম। সেইসঙ্গে, হেডস্যার বিনো জর্জের (Bino George) ভূয়সী প্রশংসা করলেন তাঁর ছাত্র অর্পণ পোলে। অধিনায়ক bangla.aajtak.in-কে জানাচ্ছেন, ‘ম্যানেজমেন্ট (Management) এবং কোচ (Coach) সকলে মিলে আমাদের সাহায্য করত। সর্বোপরি, আমাদের কোচ বিনো স্যার সেরা একজন মানুষ। উনি একজন অনেক বড় মাপের কোচ। স্যার সবসময় আমাদের সাহায্য করত এবং ভালো খেলার জন্য উৎসাহ দিত। উনি বরাবর আমাদের পেপটক দিতেন এবং একটা সিস্টেমের মধ্যে খেলার পরামর্শ দিতেন। আমরা সেই অনুযায়ী চলতাম। কোচ, অফিসিয়াল স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট সকলে মিলেই এই সাফল্যটা পেয়েছি আমরা। 
 
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কঠিন সময়ে সমর্থকরা যেভাবে পাশে ছিল, সেইজন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবসময় কোনও দলের খারাপ সময় থাকে না। আসতে আসতে আমরা সেই খারাপ সময়টাকে ওভারকাম করে ভালো সময় ফিরিয়ে আনব। আশা করি যে, সিনিয়র টিমও ভালো খেলবে। সমর্থকদের বলব, খারাপ সময়ে তাঁরা যেমন পাশে ছিল, ভালো সময়েও যেন তাঁরা পাশে থাকে।‘  

সেইসঙ্গে অর্পণ পোলে আরও জানালেন, ‘সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে ডার্বি জয় আমার স্বপ্ন। আপাতত নিজের অনুশীলনে ফোকাস করতে চাই। এই জয় আমি আমার পরিবার,  বাবা-মা, ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত সমর্থক, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্টকে উৎসর্গ করছি।‘ স্বভাবতই যুব দলের এই অধিনায়ক যে, আগামীতে লাল হলুদের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন সেই কথা বলাই বাহুল্য।

POST A COMMENT
Advertisement