ইস্টবেঙ্গল ক্লাবইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal Club) কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির (Emami Group) কর্তারা। দুই পক্ষের চার জন করে মোট আট জন সদস্যকে নিয়ে বৈঠক হয়। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা ঠিক করার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন দুই পক্ষের কর্তারা। তবে সব কিছু যে এই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে তা বলা যাবে না। কোন পক্ষের কাছে কত শতাংশ শেয়ার থাকবে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, শুধুমাত্র ফুটবল রাইটস থাকবে ইমামি গ্রপের হাতে। বাকি সমস্ত খেলাধুলার বিষয় ক্লাব নিজেই দেখবে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে শেয়ারের শতাংশের চিত্রটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে ক্লাব সূত্রের দাবি।
আলোচনা জারি রাখার পাশাপাশি দল গঠনেও মন দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ট্রানফার মার্কেটে যাতে তারা পিছিয়ে না পড়েন সেদিকে নজর রাখছেন লাল-হলুদ কর্তারা। দল গঠনের বিষয় যেহেতু ক্লাব কর্তারা অভিজ্ঞ তাই তাদের হাতেই ফুটবল টিম গড়ার দায়িত্ব থাকতে পারে। সূত্রের খবর, স্পোর্টিং রাইটস নয় শুধুই ফুটবল রাইটস পেতে পারে ইমামি। তার মধ্যেও দল গঠনের কাজ সামলাবেন ক্লাবের কর্তারাই।
শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে বিবাদের ইন্যতম কারণ ছিল, তারা গোটা ক্লাবের দখল চেয়েছিলেন। ক্লাব কর্তারা তাতে রাজি হননি। প্রথমিক ভাবে আইএসএল খেলার তাগিদে দ্রুত প্রাথমিক চুক্তিপত্রে সই করে দিলেও মূল চুক্তিতে সই করেননি ক্লাব কর্তারা। সেই কারণেই আর বিনিয়োগ করতে চায়নি শ্রী সিমেন্ট (Shree Cement)।
২৫ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৌজন্যে ইমামি গ্রুপকে ইনভেস্টর হিসেবে পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। নবান্নে এ কথা ঘোষণা করেন মমতা। তবে কোন শর্তে এই চুক্তি হবে, তার এক্সিট ক্লজ কী থাকবে তা ঠিক হয়নি সেদিন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, এই বিষয়ে দুই পক্ষ বসে ঠিক করে নেবে। ইস্টবেঙ্গলের ইনভেস্টর সমস্যা যে তাঁকে ভাবাচ্ছিল তাও সে দিন গোপন করেননি মমতা। আর সেই কারণেই ইমামির সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের কথা বলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ জট কাটিয়ে ISL-এ মহমেডান, কেন মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ কর্তারা?
সার্থক গলুইয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তবে টার্গেট করলেও জার্মানপ্রীত সিং, মনোতোষ চাকলাদারকে পাচ্ছে না লাল-হলুদ ক্লাব। মনোতোষকে সই করিয়ে নিয়েছে চেন্নাইয়েন এফসি। জার্মানপ্রীত গিয়েছেন জামসেদপুরে।