এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) বা ইস্টবেঙ্গলের (East bengal) মত আরও এক শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব মহমেডান স্পোর্টিংকেও (Mohammedan Sporting) দেখা যেতে পারে আইএসএল-এ (ISL)। শোনা যাচ্ছে, ইনভেস্টরের সমস্যা উঠেছে ক্লাব। বাঙ্কারহিলের সৌজন্যেই নতুন ইনভেস্টর হিসেবে সাদা-কালো ক্লাবে আসতে চলেছে নতুন বিনিয়োগকারী। 'ট্রায়াম ইন্ডাস্ট্রিজের' নাম শোনা যাচ্ছে নতুন ইনভেস্টর হিসেবে। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্লাবকে আইনি কাগজপত্র পাঠাবে ইনভেস্টররা। তারপর আইনজীবিদের সঙ্গে কথা বলবেন ক্লাব কর্তারা। তবে সমস্ত কিছু বিচার করে চুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মহমেডান ক্লাবের কর্তারা। এই গোটা প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাহায্য চাইছেন তাঁরা। কারণ, শুধু ইনভেস্টর থাকলেই হবে না। আইএসএল-এর আয়োজক এফএসডিএল-কেও রাজি করাতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে ইনভেস্টর পাইয়ে দিতে বারবার সাহায্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মহমেডানও আইএসএল-এ খেলুক এমনটাই চান মমতাও। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসে এই কথাই বারবার শনান গিয়েছে তাঁর মুখ থেকে। তাই এবার ইনভেস্টর সমস্যা সমাধান করে এফএসডিএল-এর কাছে নিজেদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর মারফত জানাতে চাইছেন সাদা-কালো কর্তারা।
আরও পড়ুন: 'IPL-র টাকায় রোজ ৫ হাজার লোককে খাওয়াই', জবাব গম্ভীরের
দারুণ ছন্দে রয়েছে মহমেডান দল। কলকাতা লিগ জিতে ইতিহাস গড়েছে তারা। আইলিগ অল্পের জন্য ফসকে গেলেও ভাল খেলেছে দল। শেষ ম্যাচে গোকুলাম কেরল এফসি-র বিরুদ্ধে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। ডুরান্ড কাপে আইএসএল-এর ক্লাব এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে হেরে গিয়েছিল মহমেডান। ক্লাব কর্তাদের আশা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে এফএসডিএল কর্তাদের সম্পর্ক বেশ ভাল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে এই বছরে নতুন দলের বিডিং যদি চালু করা যায় তবে মহমেডানকেও আইএসএল-এ দেখা যেতে পারে। তবে সবটাই এখন নির্ভর করছে ইনভেস্টরের দেওয়া ড্রাফটের উপর। সেই ড্রাফট পছন্দ হলে তবেই সই করবেন কর্তারা। আর তারপরেই পরবর্তী মরশুমে আইএসএল-এ খেলার প্রস্তুতি শুরু করতে পারবে মহমেডান। তবে ইনভেস্টর নিয়ে কথাবার্তা এগোনোর খবর যে দারুণ খুশি করবে মহমেডান সমর্থকদের তা বলাই বাহুল্য।