scorecardresearch
 

East Bengal জট কীভাবে কাটালেন মমতা? চুক্তি নিয়ে থেকেই যাচ্ছে প্রশ্ন!

বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চুক্তি জট মিটে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। এই নিয়ে দুই মরশুমের মাঝে দুবার ইনভেস্টরদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াল ইস্টবেঙ্গল দল।

Advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবশেষে জট কাটল ইস্টবেঙ্গলের। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবশেষে জট কাটল ইস্টবেঙ্গলের।
হাইলাইটস
  • ইস্টবেঙ্গল জট মিটল অবশেষে
  • মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে মিটেছে সমস্যা
  • তবে রয়ে যাচ্ছে চুক্তি নিয়ে সমস্যা

বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চুক্তি জট মিটে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। এই নিয়ে দুই মরশুমের মাঝে দুবার ইনভেস্টরদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াল ইস্টবেঙ্গল দল। প্রথমে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ১৯ আগস্ট ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে প্রথম ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। তারপর ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে প্রথম চুক্তি হয় শ্রী সিমেন্ট ও ইস্টবেঙ্গলের। তারপর থেকে আইএসএল চলা পর্যন্ত ঠিক-ঠাক ছিল সব কিছুই। হঠাতই ফের শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

শ্রী সিমেন্ট হঠাতই নিজেদের দাবি রাখতে শুরু করে ক্লাবের ওপর। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের দাবি অনুযায়ী টার্মশিটে ছিল, ক্লাবের বিভিন্ন জিনিসের ওপর সব রকমের অধিকার হারাবে ক্লাব সদস্য থেকে কর্তারা। দল গঠন থেকে শুরু করে ক্লাব টেন্ট সবটার ওপরই অধিকার থাকবে শ্রী সিমেন্ট কর্তৃপক্ষের। তবে সেই চুক্তিপত্রে কোনও ভাবেই সই করতে চায়নি কর্মকর্তারা। ফলে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চাইছিলেন না শ্রী সিমেন্টও। ইনভেস্টরের শর্ত মেনে নিলে ক্লাব বিক্রি করে দিতে হবে, বলেই দাবি ছিল ক্লাবের কর্তাদের। ফলে সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব চলেই যাচ্ছিল। অন্যদিকে, আইএসএল এগিয়ে আসছে, দল গঠনও বাকি। আর সেই সময়ই হস্তক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কীভাবে জট কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী

ক্লাবের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, তারপরই ফের হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে অবশেষে জট কাটলো শতবর্ষের ক্লাবের। আইএসএল খেলবে ইস্টবেঙ্গল দল এমনটা নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা একই সঙ্গে জল্পনা চলা শ্রী সিমেন্টও ছিল ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। আর তারপরই জট কেটে যায় এই দীর্ঘ জল্পনার। দীর্ঘ জল্পনা কাটিয়ে এবার ফের একবার আইএসএলের মঞ্চে নামবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। আইএসএলে দেখা যাবে ডার্বি।

Advertisement


চুক্তি নিয়ে থেকেই যাচ্ছে বড় প্রশ্ন

চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। গত মরশুমে কোনওরকমে ফুটবল মাঠে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। এসসি ইস্টবেঙ্গল নামে মাঠে নামে দল। শেষ মুহূর্তে বিড খুলেছিল এফএসডিএল আইএসএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিছু চুক্তিও ছিল সেখানে।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দুই পক্ষ। তবে যে চুক্তি দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে মিটছিল না সেটা পাঁচ মিনিটের বৈঠকে কীভাবে মিটে গেল সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। ইস্টবেঙ্গল কর্তা নীতু সরকার বলেছেন, 'সবটাই দিদির কথার জাদু। তিনি কথা বলেছেন তাই ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছে। আলাদা কিছুই নেই। আর বাকি কী হয়েছে আমরা সেটা বলতে পারব না। দিদির তরফে আমাদের শুধু খেলার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে, বাকি আর কিছুই বলতে পারব না।'

ক্লাব সূত্রে খবর, পুরানো শর্তেই ফের একবার একত্রিত হতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ও শ্রী সিমেন্ট। তবে এটা কী সম্পূর্ণ ভাবে কোনও সমাধান, সেই প্রশ্ন তুলছে ফুটবল ময়দানের এক মহল। কারণ সম্পূর্ণ সমাধান না হলে আগামী বছর ও মরশুমের মাঝেও হতে পারে অনেক রকমের সমস্যা! সেটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন।

আসন্ন মরশুমের জন্য মরশুমের মাঝেই এবার খুঁজতে হবে ইনভেস্টর। কারণ আগামী মরশুমে যদি শ্রী সিমেন্ট না থাকতে চায় ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তখন ফের একবার এমন জটিলতা আসতে পারে। কিন্তু একদিকে যেমন টাকা স্পোর্টিং রাইটস ফেরানো নিয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়েছিল শ্রী সিমেন্টের তরফে, তেমনই ক্লাবের পক্ষ থেকেও প্রচুর ধরনের শর্ত ছিল। কিন্তু আপাতত খেলাটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে সবাই।

দল গঠনের কী হবে!

দল গঠন নিয়ে আগে থেকেই তৎপর ছিল ইস্টবেঙ্গল এমনটাই জানিয়েছেন কর্তারা। তবে এত বড় ক্লাব ফলে প্লেয়ারদের সঙ্গে আগে থেকেই কিছু চুক্তি আছে বলে দাবি করেছেন দেবব্রত সরকার। তাঁর দাবি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবও তৈরি, আর শ্রী সিমেন্টকে সবরকম ভাবে আমরা সাহায্য করতে চাই। ফলে এখন শুধু দল গঠন করে এসসি ইস্টবেঙ্গল নামে পুরানো চুক্তিতেই মাঠে নামবে দল।

Advertisement