![এই সেই চিঠি](https://akm-img-a-in.tosshub.com/lingo/styles/medium_crop_simple/public/images/story/202403/whatsapp_image_2024-03-01_at_17.29.28.jpeg)
বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে অনূর্ধ্ব ১৭ আই লিগ থেকে ব্যান হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ২০২৩-২৪ মরসুমে জাতীয় লিগে খেলতে পারবে না ইস্টবেঙ্গলের তরুণ দল। শতবর্ষ প্রাচীন এই ক্লাবে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা বলা মুশকিল। তবে এই ঘটনা যে অত্যন্ত লজ্জাজনক তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মোহনবাগান ডার্বি ম্যাচে হারের পরেই লাল-হলুদের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণ হতেই ব্যান হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল ব্যান হওয়ায় গ্রুপ টপার হিসেবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট পরের রাউন্ডে যাচ্ছে। পাশাপাশি ইউনাইটেড স্পোর্টস সুযোগ পাচ্ছে জাতীয় স্তরে খেলার। bangla.aajtak.in-এর কাছে এসে পৌঁছেছে সেই সাসপেন্সনের চিঠি। মোহনবাগানের অভিজগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। সেই তদন্তের ভিত্তিতে পয়েন্টও কেটে নেওয়া হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল যুব দলের। তবে এবার সরাসরি সাস্পেনশনের পথে হাঁটল এআইএফএফ। ফলে বিরাট লজ্জার মুখে পড়তে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে।
ছয় ফুটবলারকে চার বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে এআইএফএফ। সেই বিতর্কিত ডার্বি ম্যাচের পর, আর সেই ফুটবলারকে খেলায়নি ইস্টবেঙ্গল। দীর্ঘদিন তদন্ত চলার পর অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের সেই খেলোয়াড়কে সাসপেন্ড করল ফেডারেশন। জানা গেছে তাদের মধ্যে একজন খেলোয়াড় আগে মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলত। অনূর্ধ্ব ১৭ ইয়ুথ লিগে রেজিস্ট্রেশনের সময় আধার কার্ডে তার নাম পরিবর্তন করা হলেও বাবার নাম পরিবর্তন হয়নি। এই অপরাধের জন্য বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও। ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে এমন ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই আবারও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। আঁধার কার্ড জালিয়াতি করলে তা ধরা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তবে দলের দায়িত্বে থাকা লাল-হলুদ কর্তারা কেন তা করলেন না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন সমর্থকদের মধ্যে।