Ex Footballer Primal Dey Died: প্রয়াত হলেন ছয় ও সাতের দশকে দাপিয়ে বেড়ানো কিংবদন্তি ফুটবলার পরিমল দে (Parimal Dey)। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেই তিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন পরিমল। অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তিনি। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। গতকাল, মঙ্গলবার রাত ১২ টা ১৫ মিনিট নাগাদ রুবির বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিমল দে। ময়দানে তাঁকে এক সময়ে ‘গ্ল্যামার বয়’ নামে ডাকা হত তাঁর চেহারা ও স্টাইলের জন্য। তাঁকে ময়দানে আরও একটি নামে ডাকা হতো 'জংলা'।
আরও পড়ুনঃ 'মেয়ে যা যা খেতে ভালোবাসে, লিস্ট বানাচ্ছি,' বলছেন রিচার মা, শিলিগুড়িতে উত্সব
ইস্টবেঙ্গল ও তাঁর নাম ছিল সমার্থক। মোহনবাগান, উয়ারিতে তিনি আদ্যাপান্ত ইস্টবেঙ্গল অন্ত প্রাণ ছিলেন। পরিমল দের জীবন শুরু উয়াড়ি ক্লাব থেকে। ১৯৬১ সালের জুন মাসে। উয়ারির কাছে জংলাদার গোলেই হার মানে মোহনবাগান। যা সেই সময় বড় অঘটন রূপে চিহ্নিত হয়েছিল। গোল করেন পরিমল দে। তারপরই তাঁকে উয়াড়ি ক্লাব থেকেই ইস্টবেঙ্গলে টেনে নেন, তখনকার লাল-হলুদ স্পটাররা। লাল-হলুদে সই করার পরে অনেকেই তাঁকে উপহাস করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের ভুল খুব দ্রুত ভাঙেন পরিমল দে। তাঁর সম্পর্কে কিংবদন্তি ছড়িয়ে রয়েছে ময়দানে। ১৯৬৫ সালের লিগে শুকনো মাঠে মোহনবাগান রক্ষণকে তছনছ করে দিয়েছিলেন পরিমল। তাঁকে সামলাতে পারছিলেন না জার্নেল সিং। সেই ম্যাচ অবশ্য ড্র হয়েছিল। ১৯৭১ সালে পরিমল দে চলে আসেন মোহনবাগানে। কিছুটা অভিমান নিয়েই ক্লাব বদল করেন তিনি। বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছেন।
তবে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিমল দে মানেই ১৯৭০ সালের IFA শিল্ড ফাইনাল। সেই ম্যাচে ইরানের পাস ক্লাবকে হারায় ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। স্বাধীনতার পর সেই প্রথম কোনও ভারতীয় ক্লাব বিদেশি ক্লাবকে পরাজিত করে শিল্ড জয় করে। তারপরই ভাল খেলোয়াড় থেকে কিংবদন্তীতে পরিণত হন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের সেই গৌরবময় ইতিহাসের নায়ক ছিলেন পরিমল দে। ফাইনালে তাঁর অনবদ্য গোল ময়দানের প্রবীণ ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে আজও অক্ষুণ্ণ। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে মহম্মদ হাবিবের পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তাঁর গোলই ম্যাচে জয় এনে দেয়।