India Vs New Zealand 2nd T20: ফের সূর্যের প্রতাপ। দেশে এখন শীতের মরশুম। কিন্তু বিদেশে সূর্যের কিরণে তাতে বিন্দুমাত্র প্রভাব কমেনি। টি-২০ বিশ্বকাপের বিধ্বংসী ফর্ম অব্যাহত নিউজিল্যান্ডেও। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন ইশান কিশানও। দলে বাকি ব্যাটাররা কেউই তেমন রান পাননি। 'স্কাই'-এর বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ভর করে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে কিউইদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল টিম ইন্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান করল টিম ইন্ডিয়া। দলের হয়ে ৫১ বলে ১১১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন সূর্যকুমার যাদব। ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি।
আরও পড়ুনঃ চলন্ত বাইকে পিছন থেকে জামা টেনে ধরল কে? ঘাড় ঘোরাতেই হাড় হিম বাইক আরোহীর
ভরসার নাম সেই সূর্য
এদিন ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভারতের ইনিংস শুরু করেন ইশান কিশান ও ঋষভ পন্থ। ইশান ৩৬ রানের ইনিংস খেললেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন পন্থ। ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাজঘরে। এরপর একদিক থেকে সূর্যকুমার যাদব নিজের বিধ্বংসী ইনিংস চালিয়ে যান। কিন্তু অপরদিক থেকে কোনও ভারতীয় ব্যাটারই এদিন রান পাননি। প্রথম থেকেই খুচরো রান চালু রেখেছিলেন সূর্য। মাঝে মধ্যে বড় শট নিয়েছিলেন। ইনিংস যত এগিয়েছে রানের গতি ততই বাড়িয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। একের পর এক ট্রেডমার্ক আনন্যাচরাল শট খেলেন তিনি। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করার পর কার্যত রুদ্রমূর্তি ধারন করেন স্কাই।
ওপেনিং বদলেও ব্যাটিংয়ের রোগ সারল না
তবে অপরিদিকে, হার্দিক পান্ডিয়া ১৩, শ্রেয়স আইয়র ১৩, দীপক হুডা ০, ওয়িশিংটন সুন্দর ০ রানে সাজঘরে ফেরেন। তবে নিজের ইনিংসের গতিবেগ কখনই কমতে দেননি সূর্যকুমার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯২ রানে শেষ হয় ভারতীয় দলের ইনিংস। এদিন ওপেনিংয়ে বদল আনা হয়। দুই বাঁহাতি উইকেটকিপার ঋষভ পন্ত ও ইশান কিশানকে পাঠানো ইনিংস শুরু করতে। ঋষভ মাত্র ৬ রান করে ফিরলেও ৩৬ রান করেন ইশান। স্ট্রাইক রেট যদিও টি২০র সঙ্গে মানানসই নয়। ১১৬ মাত্র। তবে দলে কামব্যাক ইনিংস হিসেবে মোটামুটি নম্বর পেতে পারেন। তবে ঋষভকে সরিয়ে এরপর যদি সঞ্জু স্যামসনকে ঢোকানের দাবি জোরালো হতে থাকে তাহলে কাউকে দোষ দেওয়া যায় না।
এদিন ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন সূর্যকুমার যাদব। ১১টি চার ও ৭টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। এই বছর এটি টি-২০ ক্রিকেটে তার দ্বিতীয় শতরান। এর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১১৭ রান। বর্তমানে টি-২০ ক্রিকেট তার রান দাঁড়াল ৪১ ম্যাচে ১৩৯৫।